যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীদের প্রশ্নে বিব্রত ফখরুদ্দীন!

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ভার্জিনিয়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ। দীর্ঘদিন পর সাম্প্রতি তিনি সস্ত্রীক ভার্জিনিয়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠনে উপস্থিত হলে প্রবাসীদের নানা প্রশ্নে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।

দেশের বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের নায়ক ফখরুদ্দিন আহমেদ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।  যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মোস্তফা হোসেন মুকুলের মেয়ে রুয়েনা তানাজের বিয়েতে গত ৩১ আগস্ট তিনি অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানে ফখরুদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী উভয়েই চুপচাপ বসে ছিলেন। আড়ালে থাকার চেষ্টা করলেও তা রক্ষা করতে পারেননি। অনেকেই সামনে এগিয়ে এসে জানতে চেয়েছেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের নির্মূলের অভিযান থেকে তার সরকার হঠাৎ পিছু হটেছেন কেন?

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েও তারা রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে দাঁড়িয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠনের পথে এগিয়ে ছিলেন কেন? বাকি জীবন আমেরিকাতেই কাটাবেন, নাকি বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছা আছে ইত্যাদি।

উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদের কৌতূহল পূরণে ড. ফখরুদ্দিন ছিলেন নীরব ভূমিকা পালন করেন। হাসিমুখে সবাইকে কাছে টেনেছেন, তবে ওইসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি।

উল্লেখ্য, ড. ফখরুদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে তিনি নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। সেখানেই অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তার সরকারের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ। তিনিও চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে বসবাস করছেন সস্ত্রীক। জেনারেল মঈনও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।



মন্তব্য চালু নেই