যিশুখ্রিস্টের ‘কবর’ উন্মুক্ত করল বিজ্ঞানীরা

ঐতিহ্যগতভাবে যিশুখ্রিস্টের সমাধি হিসেবে স্বীকৃত কবরের উপরিভাগ উন্মুক্ত করেছে বিজ্ঞানীরা। সমাধিটি ইসরাইলের পুরাতন শহর জেরুজালেমের হলি সেপালচর গির্জায় অবস্থিত, যেটি মার্বেল পাথরে মোড়ানো।

ওয়াশিংটনভিত্তিক বিজ্ঞান ও শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির (এনজিএস) বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে গবেষণা করছেন। এনজিএসের প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রেডরিক হেইবার্ট বলেন, মার্বেল পাথরে আবৃত সমাধিটি আমরা উন্মুক্ত করেছি, তবে এর তলদেশের সবখানে ভরাট উপাদান দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, যিশুখ্রিস্টের সমাধি নিয়ে কম গবেষণা হয়নি, তবে অবশেষে আমরা এর তলদেশে মূল শিলাপৃষ্ঠ পর্যন্ত যেতে পেরেছি, যেখানে যিশুখ্রিস্টের দেহ সমাহিত করা হয়। খ্রিস্টানদের ঐতিহ্য অনুসারে, আনুমানিক ৩০ বা ৩৩ খ্রিস্টাব্দে যিশুখ্রিস্ট রোমানদের দ্বারা ক্রশবিদ্ধ হন এবং সেই অবস্থায় তাকে ‘সমাধি বাক্সে’ রেখে কবর দেয়া হয়। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস রয়েছে, তিনি পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন।

‘সমাধি বাক্স’টি ঘেরা ওই ছোট্ট পরিসরটি ‘ইডিকিউল’ নামে পরিচতি। ল্যাটিন ভাষায় ‘ইডিকিউল’ শব্দের অর্থ ছোট ঘর। আগুন লেগে সমাধি ক্ষেত্রটিতে ক্ষতি হওয়ায় ১৮০৮-১০ সালে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এথেন্সের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক সুপারভাইজার অধ্যাপক অ্যান্টনিও মরোপউলোর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী বর্তমানে এর ভেতরের সমাধিস্তম্ভ নিয়ে গবেষণা করছেন। এটি উন্মুক্ত করার ফলে বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন করে গবেষণার দ্বার খুলে গেল। সমাধিটির মূল পৃষ্ঠদেশ নিয়ে তারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। ৩২৬ খ্রিস্টাব্দে রোমান শাসক কনস্ট্যানটাইনের মা হেলেনা খ্রিস্টানদের সবচেয়ে পবিত্র এ স্থানটির সন্ধান পান।



মন্তব্য চালু নেই