যার ভোট সে দিতে পারলে ফল মানবে বিএনপি

আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ২৩৪ পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। এ নির্বাচনের ফলাফল যদি কারো নির্দেশে না হয় এবং ভোটারদের ভোট যদি অন্য কেউ না দেয় তাহলে নির্বাচনের যে ফলাফলই হোক না কেন বিএনপি তা তা মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি ২৮ এপ্রিলের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এলেও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট শুরুর পর ওই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে পৌরভোটে বিএনপি শেষ পর্যন্ত থাকবে বলে গতকাল জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে যাওয়ার সময় মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের ফল যদি কারো নির্দেশে নির্ধারণ করা না হয়, ভোটাদের ভোট যদি অন্য কেউ না দেয় তাহলে আমরা ফলাফল মেনে নেব। নির্বাচন যদি সুন্দর হয়, সেটা আমাদের চেয়ে নির্বাচন কমিশনের বেশি সাফল্য।

তিনি বলেন, আশা করবো নির্বাচন কমিশন আগামীকালের নির্বাচনে ভোটাদের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়ে মানুষের হারানো বিশ্বাস পুনর্জাগরিত করবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। সেই সঙ্গে দেশের মানুষের জন্যও কল্যাণকর হবে।

মঈন খান আরো বলেন, কাল রাত ১২টার পর থেকে পৌর নির্বাচন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। আজকে থেকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণা নেই। আগামীকালে যে নির্বাচনী পরিবেশ কী হবে, ফলাফল কীভাবে ঘোষণা হবে এসব আমরা আলোচনা করছি। প্রথমত যেটা আমরা বলেছিলাম, অতীতে কখনো পৌরনির্বাচনে ৩ জন নিহত ৩শর বেশি আহত হয়নি। বিএনপির প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে, যারা নির্বাচন করতে পারতো।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার কথা বললেও আওয়ামী লীগ মনে করছে দলটি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের থাকবে না। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হচ্ছে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে না। কারণ, বিএনপি তাদের অবস্থা বুঝেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করছে।’



মন্তব্য চালু নেই