যাত্রাপথে ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা

নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহনে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে গণসংযোগে নেমেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

এর অংশ হিসেবে বুধবার বগুড়ার উদ্দেশ্যে নিজের গুলশানের বাসভবন থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে  রওনা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার নীলফামারী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন বিএনপি প্রধান।

যাত্রা পথে বিভিন্ন স্পটে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তাকে স্বাগত জানাতে রাস্তার দু’পাশে কর্মী সমর্থকদের ঢল নেমেছে। হাজার হাজার ব্যনার, ফেস্টুন নিয়ে বেলা ৩টা থেকে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করছেন তারা। বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে চলছে বিরামহীন মাইকিং। অনেক স্থানে ফুল ছিটিয়ে খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিচ্ছেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

যাত্রাপথে আবদুল্লাহপুর, দক্ষিনখান থানা, টঙ্গী ব্রিজ, টঙ্গী থানা (এস এম শাহান শাহ আলমের নেতৃত্বে), এয়ারপোর্ট থানা (যুবদল উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে), টঙ্গী মিল গেট (আরিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে), চেরাগআলী (হাসান সরকারের নেতৃত্বে), টঙ্গী কলেজগেটসহ বিভিন্ন স্পটে উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাত নেড়ে নেতাকর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

খালেদা জিয়া টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে বগুড়া পৌঁছবেন। বগুড়া সার্কিট হাউসে তিনি রাত্রিযাপন করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বগুড়া থেকে রওনা হয়ে মহাস্থানগড়, মোকামতলা, গোবিন্দগঞ্জ, রংপুর হয়ে নীলফামারি যাবেন। নীলফামারি সার্কিট হাউসে বিশ্রাম শেষে জেলার বড় মাঠে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি।

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে গতিশীল করতে দেশব্যাপী গণসংযোগের অংশ হিসেবে আরো তিনটি জেলায় জনসভা করবে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার নীলফামারী জনসভার পর আগামী ৩০ অক্টোবর নাটোরে, ৬ অথবা ৭ নভেম্বর কুমিল্লায় এবং ১২ নভেম্বর কিশোরগগঞ্জে ২০ দলের জোটের উদ্যোগে মহাসমাবেশ হবে।



মন্তব্য চালু নেই