যশোরে ভারতীয় নাগরিকসহ দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মাদক দ্রব্য কোকেন ও হেরোইনের আলাদা মামলায় এক ভারতীয় নাগরিকসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন যশোরের আদালত।

মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম ও ২য় আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম ও মোহাম্মদ সামছুল হক আলাদা রায়ে এ সাজা দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ভারতের তামিলনাড়ুর ৬৭২৬ সাউথ স্ট্রিট তন্ডি রামনাথ এলাকার বারোক আলীর ছেলে সাউল হামিদ ও যশোরের শার্শার শ্যামলাগাছি গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে আইজুল ইসলাম ওরফে আজিজুল বিশ্বাস।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি দুপুরে নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ যশোর-বেনাপোল সড়কের হাজের আলীর মহসিনের ইটভাটার পাশে চেকপোস্ট বসায়। দুপুর ২টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাসির জন্য থামানো হয়। বাস তল্লাসিকালে ভারতীয় নাগরিক সাউদ হামিদের পায়ের কাছে রাখা একটি ব্যাগ থেকে দেড় কেজি কোকেন ও তার ব্রিফকেস থেকে বিশেষ কায়দায় রাখা আরও এক কেজি কোকেন উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের এএসআই মোরসালিন বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য (কোকেন) আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সাউদ হামিদকে অভিযুক্ত করে ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মুজিবর রহমান।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় নাগরিক সাউদ হামিদ কারাগারে আটক আছে।

অপরদিকে, ২০০৯ সালের ১১ এপ্রিল কোতয়ালি থানা পুলিশ রাতে মাদক বিরোধী নিয়মিত টহলের সময় যশোর-বেনাপোল সড়কের এমবিবিআই ইটভাটার কাছে পৌঁছালে একজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসম ধাওয়া করে আটক আইজুল ইসলামের দেহ তল্লাশি করে ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে এসআই সেলিম রেজা বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আইজুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ২৪ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরুন কুমার কর আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি আইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আইজুল ইসলাম কারাগারে আটক আছেন।



মন্তব্য চালু নেই