পুলিশের অব্যাহত অভিযান

যশোরে থ্রিহুইলার ধর্মঘট বিক্ষোভ সমাবেশ

যশোর পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন রুটে বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ যানবাহন আটক করেছে। গত তিন দিনের অভিযানে মোট ৪৫টি নসিমন-করিমন ও ইজিবাইক আটক করেছে পুলিশ। এ সময় মহাসড়কে চলাচলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১৫৪টি যানবাহনের বিরদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে যশোর শহরের বিভিন্ন রুটে ইজিবাইক, থ্রিহুইলার চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেছেন।এ সময়
ছোট যানবাহনের মালিক-শ্রমিকদের রুটি রুজির ওপর আঘাত করা যাবে না। অভিযান বন্ধের দাবি করছে তারা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে
জেলা পুলিশের সিনিয়র এএসপি রেশমা শারমিন ঘটনাস্থলে পৌছে বলেন তিন দিন ধরে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান বলেন পুলিশ সুপারের নির্দেশে অবৈধ যানবাহন আটক করা হচ্ছে। বুধবার ছিল অভিযানের তৃতীয় দিন। এ পযন্ত মোট ৪৫টি নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করা হয়েছে। মামলা দেওয়া হয়েছে ১৫৪টি। এদিকে, নসিমন, করিমন, ভটভটি ও ইজিবাইক মালিক-শ্রমিকরা চলমান অভিযানকে ‘গরিবের পেটে লাথি দেওয়া’উল্লেখ করে এ তৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার সকালে ইজিবাইক মালিক-শ্রমিকরা ইজিবাইক চলাচল বন্ধ রেখে শহওে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিকেলে তারা মণিহার এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা এ অভিযান প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
শহরের শংকরপুর এলাকার ইজিবাইক চালক সেলিম জানায় বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, কেউ জায়গাজমি বিক্রি করে বাইক কিনেছি, একটু ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য। এ ছাড়া সরকারতো এ বাইক আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তাহলে আমরা এগুলো কিনলে তা অবৈধ হবে কেন।



মন্তব্য চালু নেই