যশোরের খবর (৬/৭/১৪)

## শার্শায় পুলিশের ১৪কেজি গাঁজা আত্মসাত!
যশোর অফিস: যশোরের শার্শা থানার এস আই জয়নুল আবেদিন পুলিশ সুপারের নির্দেশকে অমান্য করে মাদকসহ ব্যবসায়ীকে আটক করে গাঁজা আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বললে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বেনাপোল রোডের শ্যামলাগাছী রেললাইনের পাশ থেকে ১৫কেজি গাঁজাসহ ইউসুফ কে আটক করে। সে বেনাপোল পোর্ট থানার ঘিবা এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে। এসময় এস আই জয়নুল আবেদিনসহ এ এস আই আনোয়ারুলসহ একদল পুলিশ ছিল। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ১৫কেজি গাঁজার পরিবর্তে ১কেজি গাঁজাসহ ইউসুফকে এক মাদক মামলায় চালান দেন। মামলা নং ৮, তারিখ: ০৪.০৭.২০১৪। ওই মামলায় আরো দুইজনকে আসামি করেছে। এ ব্যাপারে শনিবার বিকাল পৌনে ৬টায় এস আই জয়নুল আবেদিনের সাথে মোবাইলে (০১৭১৫-০২৬১৮২)যোগাযোগ করা হলে মাদকসহ ইউসুফকে আটকের কথা স্বীকার করেন। ১৪কেজি গাঁজা বিক্রির কথা বললে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) এ প্রশ্ন করতে পারেন না। আমার সততা নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন করেনি। আপনিও করতে পারেন না। শার্শার সাংবাদিকরা এসে ইউসুফের ছবি নিয়ে গেছে এবং তার সাথে কথা বলে গেছেন। আপনাদের (সাংবাদিক) সাথে আমার ভাল সম্পর্ক আছে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শার্শা থানার ওসির বর্ডিগার্ড কন: সেলিম প্রায় ৭ বছর ধরে শার্শা থানা আছেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে টাকা আদায় করে থাকেন। মূলত সেলিম ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন। আর কাজে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে থাকেন আলোচিত এস আই জয়নুল আবেদিন। ৫/৬মাস আগে তিনি এ থানায় যোগদান করেছেন। তার ইতোপূর্বে কর্মস্থল খুলনা জেলার একটি থানায় ছিলেন। সেখানেও তিনি ছিলেন আলোচিত । মাদক ব্যবসায়ী, চোরাচালানীদের আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে সব সময়। শার্শা থানার এ এস আই সৌমেন আছেন প্রায় ২ বছর। এস আই জয়নুল আবেদিন, এ এস আই সোমেন, এ এস আই আনোয়ারুল, কং সেলিম এক জোট হয়ে শার্শার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারী, ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করে থাকেন। যারা না দেন তাদেরকে আটক করে কোর্টে চালান দেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে যশোর পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার সর্ত্বে জানান, শার্শা থানায় কর্মরত কর্মকর্তারা নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অচিরেই নেয়া হবে তিনি আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

## বিএনপির সংবাদ সম্মেলন:যশোর কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন যুবদল নেতা উজ্জল
যশোর অফিস: যশোর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কারা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় যুবদল নেতা সামিউজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার, জেলর ও কারা হাসপাতালের চিকিৎসক দায়ী। নেতারা অভিযোগ করেন, কারাকর্তৃপক্ষের অবহেলায় শনিবার কারাগারে একজন কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় অহরহ কারাগারে হাজতি ও কয়েদি মারা গেলেও সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একেবারে নির্বিকার। নেতৃবৃন্দ বলেন, এভাবে গত এক বছরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বিএনপি জামায়াতসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত নেতাকর্মীদের সংখ্যাই বেশি। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কারা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ নেতাকর্মীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেনি। তার সর্বশেষ শিকার জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমানে যুবদলের ৩নং ওয়ার্ড কমিটির নেতা সামিউজ্জামান উজ্জ্বল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগে চৌগাছা বিএনপির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম শান্তিসহ অনেক নেতাকর্মী কারাগারে অসুস্থ হলেও তাদের চিকিৎসায় কারাকর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ফলে, নজরুল ইসলাম শান্তিসহ অনেকেই বিনা চিকিৎসায় বন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিএনপিনেতা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আদালতের মাধ্যমে তাকে বাইরে এনে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার বর্তমানে মাদকের নিরাপদ বাজারে পরিণত হয়েছে। ক্যান্টিনের নামে কারাকর্তৃপক্ষ রীতিমত ব্যবসা খুলে বসেছে। বন্দিদের বাইরের খাবার বন্ধ করে তারা উচ্চমূল্যে তাদের কাছে ক্যান্টিনের খাবার বিক্রি করছে। যা কারা আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। বিএনপি নেতারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান। সাংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ ।

## যশোর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
যশোর অফিস: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার সকালে ইউনুস আলী নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদি মারা গেছেন। যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত ইউনুস আলী মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের ওসমান আলীর ছেলে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইউনুস আলী ২০১২ সালে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এই কারাগারে আসেন। শুক্রবার রাতে তিনি অসুস্থ হলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি আরও জানান, সাজা হওয়ার পর তাকে মেহেরপুর কারাগার থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

## জমি-জলাশয় ভরাট ও গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন
যশোর অফিস: যশোর সদরের কাশিমপুর-সানতলা-মালোপাড়ায় জমি দখলের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন করেছে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন জেলা কমিটি।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তরা বলেন, ওই তিন গ্রামের জমি-জলাশয় দখল ভরাট ও গাছ কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের আটক করে আইনের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানান। মানববন্ধনে কাশিমপুর-সানতলা-মালোপাড়ার শ’শ’ মানুষ অংশ নেন।

## যশোর পৌর কর্মচারী ইউনিয়ন: ৬জুলাই’র পরিবর্তে ১৩জুলাই থেকে পৌরসভার নাগরিকসেবা বন্ধ থাকবে
যশোর অফিস: তিনদিনের কর্মবিরতি কর্মসূচির তারিখ পেছালেন যশোর পৌরসভার কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। পূর্বঘোষিত ৬ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ১৩ জুলাই থেকে তিনদিন পৌরবাসীর নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেবার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। যশোরের জেলা প্রশাসকের অনুরোধে তারা এ কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছেন বলে শনিবার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘোষণা দেন।
যশোর পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ২১ এপ্রিল শহরের নাজির শংকরপুর এলাকায় পৌরসভা পরিচালিত সারথী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখলের চেষ্টা করে একটি সন্ত্রাসীচক্র। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে। বিষয়টি অবহিত হয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান পৌরমেয়রকে মীমাংসার জন্য পাঠান। কিন্তু কয়েকদিন পর জমি দখলকারী চক্রটি পৌরমেয়র মারুফুল ইসলামসহ কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বোমাবাজি, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করে। এরপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ৬ থেকে ৮ জুলাই পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পৌর কর্মচারি ইউনিয়ন।
যশোরের নবাগত জেলা প্রশাসকের অনুরোধে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুলাই পূর্ণ কর্মবিরতির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে আগামী ১৮ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ও আন্দোলন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আফজাল হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মাসুদুল করিম কাক্কু, আবুল কালাম আজাদ লিল্লু, সাইদুল ইসলাম, কামাল আহমেদ, মোকছেদ আলী, সেলিম রেজা প্রমুখ।

## যশোরে নিহত যুবলীগ নেতা আলমগীরের বাড়িতে বোমা হামলা
যশোর অফিস: সন্ত্রাসী হামলায় নিহত যুবলীগ যশোর সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে বোমা হামলা করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা তার রাজারহাটস্থ বাড়িতে দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
নিহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী নাজনীন সুলতানা রিনা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বাড়ির গেটের সামনে ও ছাদে দু’টি বোমা ছুড়ে মারে সন্ত্রাসীরা। বোমা দু’টি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। রাতের অন্ধকারে কাউকে চেনা যায় নি। তবে এত কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাতেই ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

## যশোারে উড়ন্ত ছিনতাইকারীদের কবলে ব্যাংক কর্মকর্তা
যশোর অফিস: যশোর সার্কিট হাউজের সামনে শুক্রবার রাতে উড়ন্ত ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন যশোর ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। রিকসায় শহরের খড়কী এলাকায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা পেছন থেকে তার একটি ব্যাগ কেড়ে নিয়ে গেছে।
অভিযোগে জানগেছে, জান্নাতুল ফেরদৌস ট্রাস্ট ব্যাংক যশোর শাখায় চাকরি করেন। এবং যশোর শহরের খড়কী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায গিয়েছিলেন। শুক্রবার তিনি বাসযোগে ঢাকা থেকে যশোরে নামেন এবং একটি রিকসা নিয়ে খড়কী যাচ্ছিলেন। রিকসাটি সার্কিট হাউজের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে পৌছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দু’যুবক তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ কেড়ে নিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে নগদ ৪হাজার টাকা, দু’টি মোবাইল ফোন সেট এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ পত্র ছিল। এ ব্যাপারে তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

## যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর অবৈধ অর্থ উপাজনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে
আবিদুর রজো খান: যশোর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা সারা দিন অবৈধ অর্থ উপাজনে লিপ্ত রয়েছে। তারা অভিযানের নাম করে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মাসিক চুক্তি করার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। যশোর শহরের আলোচিত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মোটা অংকের মাসিক চুক্তি করে তাদের মাদক ব্যবসা করার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ কারনে তাদের তেমন কোন অভিযানে সফলতা নেই।
যশোর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা গত ৫ মাসে যশোর জেলাসহ ৪ জেলায় অভিযান চালিয়ে ৫৮ গ্রাম হেরোইন,৩৫৩পিস ইয়াবা,৫৩ বোতল বিদেশী মদ,৬৬০ বোতল ফেনসিডিল,১২ কেঁজি গাঁজা পিস্তল,গুলি,চোলাই মদ,আর এস,ডিএস,তাঁড়ি উদ্ধার করেছে। এ সময় মাদক বহনসহ নিজ দখলে রাখার অপরাধে ২৪ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে। এসময় ১৫ মাদক বিক্রেতা পালিয়ে গেলেও বিভিন্ন থানায় ৩৮ টি মামলা ও একটি সাধারণ ডাইরী করেছে।মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সুত্রে জানাগেছে,বর্তমানে উপ-অঞ্চলে উপ-পরিচালক হিসেবে মাসুদ হোসেন,সহকারী পরিচালক আসলাম,বর্তমানে তত্বাবধায়ক রবিউল ইসলামসহ যশোর সদর ও বেনাপোল সার্কেল এবং নড়াইল,ঝিনাইদহ,মাগুরা জেলায় কর্মরত সহকারী পরিচালক,পরিদর্শক,উপ-পরিদর্শক,সহকারী পরিদর্শক,সিপাহী দায়িত্ব পালন করছেন। সুত্রটি জানিয়েছেন,পুলিশ,ম্যাজিষ্ট্রেট,র‌্যাব সংস্থাকে প্রয়োজনে মাদকদ্রব্য বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিতভাবে অভিযানে নিয়ে মরন নেশা হেরোইন,ফেনসিডিল,ইয়াবা,গাঁজা,তাঁড়ি,বিদেশী মদ,চোলাই মদ,আরএস,ডিএসসহ মাদকদ্রব্যসহ আটক করে। মাদকদ্রব্য বিভাগ সুত্রে জানাগেছে,চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী হতে মে মাস পর্যন্ত যশোরের দু’টি সার্কেল ছাড়া,মাগুরা,ঝিনাইদহ ও নড়াইল জেলা এলাকায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পৃথক অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে। এর মধ্যে জানুয়ারী মাসে ৪ গ্রাম হেরোইন,৬৮ পিস ইয়াবা,২ বোতল বিদেশী মদ,৪০ বোতল ফেনসিডিল,৩ কেঁজি ৩৬২ গ্রাম গাঁজা, ১লিটার আর এস,৪২ লিটার ডিএস,৫ লিটার অবৈধ চোলাই মদ,১৯০ লিটার তাঁড়ি,ফেব্র“য়ারী মাসে ১৬ পিস ইয়াবা,১টি পিস্তল,৫রাউন্ড গুলি,১টি দা,১টি ছুরি,৩৪ বোতল বিদেশী মদ,১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ৩ কেঁজি১১০ গ্রাম গাঁজা,লুপি জেসিক ইনজেকশন ১টি,৫০ লিটার আরএস,২০ লিটার ডিএস,১০ লিটার চোলাই মদ,৪২০ লিটার তাঁড়ি। মার্চ মাসে৩৩ গ্রাম হেরোইন,২৭০ গ্রাম গুড়া পর্দাথ,৭০ পিস ইয়াবা,১০ বোতল বিদেশী মদ, কোডিনের মিশ্রন ফেনসিডিল ১৩৯ বোতল,২ কেঁজি ৯৪৫ গ্রাম গাঁজা,আরএস ১২ বোতল,৩০ লিটার চোলাই মদ ও ৪০ লিটার তাঁড়ি। এপ্রিল মাসে মাত্র ১ গ্রাম হেরোইন, ১৯০ পিস ইয়াবা, ৭ বোতল বিদেশী মদ, ২৯১ বোতল ফেনসিডিল,তরল ফেনসিডিল ২ লিটার,১ কেঁজি ৪৭০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজা গাছ ১০ টি, আরএস ৫ বোতল, ২০ লিটার চোলাই মদ ও ১৪০ লিটা তাঁড়ি এবং মে মাসে ২০ গ্রাম হেরোইন, ৯ পিস ইয়াবা,১৭৫ বোতল ফেনসিডিল,২ কেঁজি ৪৪০ গ্রাম গাঁজা ও ৪৪০ লিটার তাঁড়ি উদ্ধার করে।মাদক দ্রব্য বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশের শর্তে জানান,তাদের অভিযানে র‌্যাব ও পুলিশকে নেয়ার পর অভিযানের স্থান এলাকায় র‌্যাব ও পুলিশের কর্তারা তাদের মোবাইল নম্বর মাদক বিক্রেতাদের নিকট দিয়ে আসেন। পরবর্তীতে অভিযান চালালে আগে বাগেই খবর পেয়ে মাদক উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।বর্তমানে যশোর উপ অঞ্চলের অধীনে যশোর সদর বেনাপোল সার্কেলে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকলেও মাদক উদ্ধার হতাশা ব্যঞ্জক অবস্থায় রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই