যশোরের খবর (৫/৮/১৪)

## যশোরে চলন্ত নসিমনের ওপর গাছ পড়ে দুই বৃদ্ধর মৃত্যু ॥ আহত চার:
যশোর অফিস :সোমবার দুপুরে শার্শা-কাশিপুর সড়কে চলন্ত নসিমনের ওপর গাছ পড়ে আবদার রহমান (৬০) ও তোফাজ উদ্দিন (৭০) নামে দুই বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে চার জন।যশোর শার্শা থানার গোড়পাড়া গ্রামের নেছার আলীর ছেলে আবদার রহমান ও একঝালা গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে তোফাজ উদ্দিন।আহতরা হচ্ছে, ফাতেমা খাতুন (২৫), আব্দুল আজিজ (৪০), ফজলে সরদার (৬০) ও আছিয়া খাতুন (৩০)।
যশোর শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর বলেন একটি নছিমন ৬ জন যাত্রী নিয়ে শার্শা থেকে কাশিপুর যাচ্ছি। পথিমধ্যে স্বরুপদাহ গ্রামের শিমুলতলায় পৌঁছালে একটি শিশুগাছ নছিমনের ওপর পড়ে। এ সময় নসিমনের ছয় যাত্রী গুরুতর আহত হয়। ওই এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে নাভারন হাসপাতালে নিয়ে যায়।নেওয়ার পথে আবদার রহমান মারা যায়। বাকি আহতদের নাভারণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তোফাজ ও ফাতেমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তোফাজ উদ্দিন মারা যায়। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম শরিফুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

## যশোর বেনাপোল সড়কে বাস শ্রমিককে লাঞ্ছিত ৫ ঘন্টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক:
যশোর অফিস: যশোরে শ্রমিকদের হাতে বাস চালক লাঞ্ছিত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে যশোর বেনাপোল সড়ক ৫ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ করেছে দেয়। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৬টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
পুলিশ ও বাস শ্রমিকরা জানান, রোববার সকালে যশোর বেনাপোল সড়কের শার্শা ও নাভারনে বেনাপোল রুটের জনৈক বাস চালককে ওই রুটে চলাচলরত থ্রি হুইলারের স্টাটারেরা সাইড দেয়া ও যাত্রী তোলা নিয়ে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনার পর ওই রুটের বাস শ্রমিক নেতা তোতা মিয়া বিষয়টি জানতে গেলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর ১ টার পর থেকে যশোর বেনাপোল সড়কের সদর উপজেলা চাঁচড়া চেকপোষ্ট এলাকার সড়ক শ্রমিক ভবনের সামনে বাস আড় করে ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে এসে ওই রুটে সকল যান বাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। দফায় দফায় শ্রমিকেরা থ্রি- হুইলার চালক ও স্টাটারকে আটকের দাবিতে মিছিল করতে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যশোরের পুলিশ প্রশাসন ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা ও মালিক সমিতি চাঁচড়া চেকপোস্টে অবস্থান নেয়। উত্তেজিত শ্রমিকেরা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। যার ফলে দুপুর আনুমানিক সোয়া ১ টার পর হতে পৌনে ৬ টার পর্যন্ত ওই সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় ওই রোডে যাত্রী সাধারণের মধ্যে চরম দূর্ভোগ শুরু হয়। প্রায় ৫ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে বাস মালিক সমিতি শ্রমিক নেতা ও পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

## যশোরে আটক পলাশ রিমান্ডে:
যশোর অফিস: যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ এক অস্ত্র মামলার আসামি পলাশ ওরফে ধলাকে আটক করে। সে যশোর শহরের খড়কী এলাকার ওয়াজেদ আলীর পুত্র।
অস্ত্র মামলার আসামি পলাশ ওরফে ধলাকে আটকের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের আবেদন করে আদালতে। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।

## বাসের ধাক্কায় আহত যুবক যশোরে মৃত্যু:
যশোর অফিস: মাগুরা নড়াইল সড়কে বাসের ধাক্কায় ইউনুস (২০) নামেরএক যুবক আহত হয়। ওই এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃতূ হয়েছে। সে মাগুরার দেশমুক্তপাড়া গ্রামের মেহের বিশ্বাসের পুত্র।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে ইউনুস বাইসাইকেল চালিয়ে মাগুরা নড়াইল সড়ক দিয়ে যাচ্ছি। এ সময় নড়াইল গামী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। ওই এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওই রাতে মারা যায়।

## যশোরে হেরোইনসহ দুই ব্যবসায়ী আটক:
যশোর অফিস: যশোর ডিবি পুলিশ তিনশ’গ্রাম হোরোইনসহ দু’যুবককে আটক করেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের মালঞ্চি নামক স্থানে একটি মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করে। এরা হলো বেনাপোলের সাদিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে বাবু এবং বারোপোতা গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে জাহিদ হাসান পলাশ।
ডিবি পুলিশের এসআই আবুল খায়ের বলেছেন, আটক দু’জন একটি মোটরসাইকেলে করে বেনাপোল থেকে যশোরে ফিরছিলেন। মালঞ্চি নামক স্থানের সেনাকল্যাণ সংস্থা হিমাগারের সামনে পৌছালে মোটরসাইকেলটি দাড় করিয়ে তাদের কাছ থেকে ৩শ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ সময় সাদিপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রানা এবং সহিদের ছেলে সবুজ পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

## যশোর কোতোয়ালি থানার এক পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ:
যশোর অফিস: যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আসামিদের নানা ভাবে হয়রাণী, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা, সন্দেহ জনক ভাবে লোকজন আটক করে পরে অর্থের বিনিমিয়ে মুক্ত, ওয়ারেন্টভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের আটক না করে টাকা আদায়সহ বহু অভিযোগ রয়েছে।
শংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে তিনি রাজারহাট এলাকা থেকে সন্দেহ জনকভাবে তিন যুবককে আটক করেন। এরা হলো রামনগর এলাকার আনসার আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন, অজিয়ার রহমানের ছেলে আনিছুর রহমান সুমন এবং আসলাম হোসেনের ছেলে সোহেল হোসেন। সারা রাত আটকে রেখে সকালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় শহরের বেজপাড়া মেইন রোড়ের সাইফুল ইসলাম মিলন নামে এক ব্যক্তির জিম্মায়। তার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় হয়।
ঈদের আগের দিন তিনি চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকা থেকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ডালিমের ছেলে আল-আমিনকে আটক করেন। পরে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেন এএসআই শহিদুল ইসলাম।
ঈদের পর দিন অর্থ্যাৎ ৩০ জুলাই চাঁচড়া রায়পাড়া জামতলার মাঠ এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ী মানিককে আটক করেন তিনি। মানিকের বিরুদ্ধে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট বের হলে তিনি সেখানে গিয়ে তাকে আটক করেন। কিন্তু থানায় না নিয়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে মানককে ছেড়ে দেন। এই ঘটনাটির প্রত্যক্ষদর্শী আছে আনেক।
সূত্রটি জানিয়েছে, শনিবার রাতে রুপদিয়া এলাকা থেকে আব্দুল জলিল নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেন এএসআই শহিদুল ইসলাম। আব্দুল জলিল একটি সি/আর মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। সকালে তাকে অন্য মামলায় চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার স্বজনদের কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়া ঈদের আগের দিন ভোররাতে বারান্দীপাড়া এলাকা থেকে একজন ইজিবাইক চালককে আটক করেন তিনি। ইজিবাইক চালকের অপরাধ ছিল খুব ভোরে বের হওয়া ইজিবাইক নিয়ে। দুপুরে তিনি তিন হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, শহিদুল নামে কোতোয়ালি থানায় তিনজন আফিসার আছেন। একজন এএসআই শহিদুল ইসলাম। আরেকজন এসআই শহিদুল ইসলাম। এবং আরেক জন এএসআই শাহিদুল ইসলাম। এএসআই শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। অনিয়মের কোন প্রশ্ন করলে তিনি নিজেকে নয় অন্য জন করতে পারে বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু খোজ নিয়ে জানাগেছে, এএসআই শহিদুল ইসলাম নিজে সব অনিয়মের সাথে জাড়িত।
এ বিষয়ে কথা হয় এএসআই শহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আ্বদুল জলিল নামে যে আসামিকে আটক করা হয়েছিল তার কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি। ডালিমের ছেলেকে তিনি নয় অন্য কেউআটক করেছিল বলে মন্তব্য করেন। শনিবার রাতে রামনগর এলাকা থেকে যে তিন যুবককে অটক করা হয়েছিল তাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছেড়েছে বলে জানান। আর চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকা থেকে মানি কে আটক করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে ক্রেকি পরোয়ানা জারি হয়। সেই কাগজ দিতে তিনি গিয়ে ছিলেন। মানিক বর্তমানে ভারতে আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

## শার্শা থানার এসআই জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ:
যশোর প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা থানার এসআই জয়নাল আবেদীন গোটা শার্শা এলাকায় অবৈধ টাকা আয় করার জন্য চষে বেড়াচ্ছেন। শার্শা এলাকার অধিকাংশ অবৈধ ব্যবসায়ীদের সাথে এসআই জয়নাল আবেদীনের রয়েছে গভীর সখ্যতা। এছাড়া শার্শা এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকার মাদক, চোরাচালান, অবৈধ মানুষ পারাপার ও মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট। এই সব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেন এস আই জয়নাল আবেদীন। তার কর্মকান্ডের খোজ খবর নিয়ে পাওয়া গেছে ঘুষ ও চাঁদাবাজির নানা কাহিনী। এস আই জয়নাল আবেদীন টাকা পেলেই অবৈধ কাজ বৈধ হয়ে যায়। আর না পেলে বৈধ কাজ অবৈধ হয়ে যায়। দিনের পর দিন চলছে এসআই জয়নাল আবেদীনের অবৈধ কারবার।
জানা গেছে, যশোরের শার্শা হেরোইন ও গোল্ড পাচারের নিরাপদ রুট। উপজেলার চালিতাবাড়িয়া এলাকার ছমির গোগার শামছুর, মনির ও বাবু, কালিয়ানির আয়ুব আলী, সালামুর রহমান ও আব্দুল হামিদ, ভূলাটের নুহু, সামঠার নবিছদ্দিন, উলাশীর মিজান, আমড়াখালীর হাশেম ও হানিফ, কাশিপুরের নবাব, হাবিব ও নাসিরসহ অর্ধ শতাধিক পাইকারী হেরোইন ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রয়েছে। এরা দীর্ঘদিন যাবত হেরোইন ও ফেন্সিডিল ব্যবসা করে আসছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এদের নেট ওর্য়াক। এরা ভারত থেকে অবৈধ পথে হেরোইন ও ফেন্সিডিল আনতে ব্যবহার করে বেনাপোলের সাদিপুর, রঘুনাথপুর, দৌলতপুর, রুদ্রপুর, কায়বা, অগ্রভূলাট, পাচঁ ভূলাট, কাশিপুর, শালকোনা, শিকারপুর, পুটখালী, বড় আচড়া সীমান্ত এলাকা। প্রতি মাসে এসব সীমান্ত পথে কোটি কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন ও ফেন্সিডিল যশোর হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। শার্শা এলাকায় মাদক পাচার ও গোল্ড পাঁচার সিন্ডিকেট ছাড়াও রয়েছে চোরাচালান,অবৈধ মানুষ পারাপার, ও মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট। এই সব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করেন এস আই জয়নাল আবেদীন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শার্শা এলাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জানান ব্যবসা করতে হলে শার্শা থানার এসআই জয়নাল আবেদীনকে মাসিক চুক্তিতে প্রত্যেককে নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হবে। মাসিক চুক্তির হেরফের হলেই মাদক আইনে মামলা। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে গত জুন মাসের ৮ তারিখে। ঘটনার দিন সকাল ১১ টার সময় উপজেলার নাভারণ এলাকা থেকে ৩ শত পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে আটক করে এস আই জয়নাল আবেদীন । মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারী পরোয়ারাভুক্ত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৩ শত পিচ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। বিক্রি করে দেয়া হয়েছে ৩ শত পিচ ইয়াবা। মাদক ব্যবসায়ী শহিদুলের পরিবার জানান মাসিক চুক্তির টাকা দিতে দেরী হওয়ায় এস আই জয়নাল আবেদীন তাকে আটক করে আদালতে চালান করেছে। একই মাসের ৩ তারিখে উপজেলার যাদবপুর গ্রামের জনৈক নার্সারী মালিকের নার্সারীর পরিত্যক্ত বাগান থেকে একটি গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনা ৭৫ হাজার টাকায় দফারফা হয়। ঐ নার্সারীর মালিক ঘটনার দিন রাতে ৩৫ হাজার টাকা ও ঘটনার দুই দিন পর গরু বিক্রী করে বাকী টাকা স্থানীয় সরকার দলীয় এক নেতার মাধ্যমে প্রদান করেন। থানার মালখানার দায়িত্বে রয়েছে এসআই জয়নাল আবেদীন। এ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে কয়েক দফা মালখানার মালামাল বিক্রির অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত করলে মালখানার মালামাল বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ মিলবে। থানার ৩৮/১৪ মামলায় জব্দ করা ঢাকা-মেট্রো গ- ১২-০১৫০ প্রাইভেট কারের মূল্যবান যন্ত্রাংশ স্থানীয় শার্শা এলাকার মোটা তাজা একজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এসআই জয়নাল আবেদীন। বিক্রি করা যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস কিট, অটো গিয়ার বক্স, অটো গ¬াসের মোটর বক্স ও চাকাসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ। ফেনন্সিডিলসহ এ প্রাইভেট কারটি চলতি সালের মার্চ মাসের ২১ তারিখে উপজেলার নাভারণ উত্তর বুরুজ বাগান গ্রামের শফির চাতালের সামনে থেকে থানা পুলিশ আটক করে। গত জুন মাসের ১৪ তারিখে নাভারণ এলাকার ২ জন ব্যবসায়ীকে আটকের ভয় দেখিয়ে ৪০ হাজার টাকা আদায় করেন। একই দিন রাতে নাভারণ এলাকার এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করে পরদিন ২০ হাজার নিয়ে ছেড়ে দেয়। ুএছাড়া ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। এ খাত থেকে তার মাসিক আয় ১ লাখ টাকা। এছাড়া চোরাচালান, অবৈধ মানুষ পারাপার ও মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট থেকেও তার নিদিষ্ট আয় রয়েছে। এ ব্যাপারে শার্শা থানার এসআই জয়নাল আবেদীনের সাথে ০১৭১৫০২৬১৮২ নং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই