যশোরের খবর (১৯/৮/১৪)

## যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় পৃথক মামলা অস্ত্র গুলিসহ রাকিব আটক:
আবিদুর রেজা খান: যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পুলিশ সস্ত্রাসী রাকিবকে আটক করে।সে শংকরপুর পশ্চিমপাড়ার কাজী তৌহিদের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান স্যুটারগান ও এক রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে ১২জনকে আসামি করে যশোর কোতয়ালি থানায় পৃথক মামলা করেছে। আসামিরা হচ্ছে শহরের গাড়িখানা রোডস্থ হোটেল আমিনের পেছনের আজিবর রহমানের ছেলে রাজু ওরফে ভাইপো রাজু, শংকরপুর কাজীপাড়ার এস্কেন আলীর ছেলে ইয়াছিন, চাঁচড়া মধ্যপাড়ার আশানুর ওরফে বাকার ছেলে মুস্তাক, আজিজুর রহামান রুবেলের ছেলে পাপ্পু, রায়পড়া তেঁতুলতলার ফারুক পকেটমারের ছেলে কুদরত, সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বলু সরদারের ছেলে হাদি, রফিউদ্দিনের ছেলে সোহাগ, মৃত জবেদ আলীর ছেলে আজগর হোসেন, লেবুতলা এনায়েতপুর গ্রামের মোছাদ্দেক আলীর ছেলে খায়রুল, প্রেমচারা গ্রামের মৃত বাকির মণ্ডলের ছেলে টুটুল এবং কৃষ্ণ নগর গ্রামের মৃত নূর আলী জোয়ার্দারের ছেলে আশকার আলী জোয়ার্দার।
রোববার গভীর রাতে যশোর শহরের চাঁচাড়া বাবলাতলা পাওয়ার হাউজের সামনে ডাকাতি করার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল গোলাম রসুল দু’রাউণ্ড সর্টগানের গুলি ছোড়ে।ধাওয়া করে রাকিবকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান স্যুটারগান ও এক রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতদের ফেলে যাওয়া রাইফেলের ১ রাউণ্ড গুলি, একটি গুলির খোসা এবং ৩০ হাত লম্বা একগাছি দড়ি উদ্ধার করা হয়।

## যশোরে এক ডাকাতির আটক :
যশোর অফিস: যশোর-মাগুরা সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বোববার গভীর রাতে ডিবি পুলিশ আজিবর রহমান নামে ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করেছে। সে মাগুরার শালিখা উপজেলার লাখোহাট গ্রামের সুলতান শরীফের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধারালো অস্ত্র, করাতসহ অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার দিবগত রাত সোয়া তিনটার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের যশোর অংশের বাহাদুরপুর মান্দারতলা এলাকায় একদল ডাকাত বাস ডাকাতি করার জন্য লুকিয়ে ছিল। সে সময় পুলিশ উপস্থিত হলে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পিছু ধাওয়া করে আজিবরকে আটক করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক আরো চার জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলো লাখোহাট গ্রামের আরোজ বলাইয়ের চেলে ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, একই গ্রামের শাহিন, ভাবলাহাট গ্রামের মৃত শাহাদতের ছেলে ছিবা ও একই গ্রামের ইবাদত আলী।তিনি আরো বলেছেন, মাগুরা থেকে তারা ডাকাতি করার জন্য যশোরে আসে। এরা মহাসড়কে বাস ডাকাতি চক্রের সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি রামদা, দু’টি সাধারণ দা, একটি হাত করাত উদ্ধার কার হয়েছে। এই ঘটনায় ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে।

## যশোরে সাগর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে পাচজন আটক:
আবিদুর রেজা খান: গত রোববার রাতে যশোরের উপশহর ঈদগাহ মাঠে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মুরগী বিক্রেতা সাগরকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন হিসাবে চারজনকে আটক করেছে। রোববার গভীর রাতে শহর ও উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো উপশহর ৮৩ ‘ডি’ ব্লক এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জনি, একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে রনি, সাবেক মানসি সিনেমা হলের পাশের একরাম আলীর ছেলে রাসেল, আমিনুল ইসলামের ছেলে রয়েল এবং একই এলাকার রুবেল নামে এক যুবক।
কোতয়ালি থানার এসআই আজগর হোসেন জানিয়েছেন, সাগর খুন হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গীদের খোঁজার চেষ্টা করা হয়। সাগর যেখানে বসে ছিল সেখানে তার অন্য সঙ্গীরা ছিল। তারাই বলতে পারবে এই খুনের সাথে কারা জড়িত।
তিনি আরো বলেছেন, নিহতের মরদেহ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় নেয়া হয়েছে কবর দেয়ার জন্য। বাদি পক্ষ এখনো মামলা দেয়নি। মঙ্গলবার অভিযোগ দিতে পারে। আপাতত সন্দেহভাজন চারজনকে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলা হওয়ার পর তাদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তবে ওই এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সাথে আটক রুবেল জড়িত থাকতে পারে। নিহতের পরিবারের লোকজন তাকে সন্দেহ করছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আসল খুনি বেরিয়ে আসতে পারে।
গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপশহর ঈদগাহ মাঠে তিন বন্ধুর সাথে বসে গল্প করছিলেন সাগর। হঠাৎ সে আহত হয়ে বি ব্লক বাজারে আলেয়া ফার্মেসির সামনে এসে পড়লে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ৯ টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার জন্য নিহতের মা রুবি বেগম ঘোপ বেলতলা এলাকার নিহত যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম শিপনের স্ত্রী রুবিকে দায়ী করেন। নিহত সাগর ওই এলাকার মোহন হাজরার ছেলে।

## যশোরে জামায়াত কর্মীসহ চারজন আটক :
যশোর অফিস: রোববার রাতে যশোর কোতয়ালি থানার এসআই শেহাবুর রহমান সদরের সিরাজসিংহা তরফদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়।এ সময় তিন জামায়াত কর্মীসহ ৪জনকে আট করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে ওই গ্রামের মৃত মানিক গাজীর তিন ছেলে বিল্লাল গাজী, লিটন গাজী ও তরিকুল ইসলাম এবং একই গ্রামের মৃত সুলতান সরদারের ছেলে শাহ আলম।



মন্তব্য চালু নেই