যমজ সন্তান হয় এই দুই কারণে

যমজ সন্তানের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কেন হয়? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আমরা সবাই জানি না। যমজ সন্তান হতে পারে দুই ধরনের।

যেমন:

১) Fraternal

২) Identical.

Fraternalযমজ দুটি ভিন্ন ডিম থেকে বিকাশ লাভ করে। বেশিরভাগ যমজই fraternal । আর অসময়ে আকস্মিক ও প্রারম্ভে গর্ভধারণের কারণে অনেক সময় একই ডিম বিভক্ত হয়ে Identical যমজ সৃষ্টি করে।

এবারে জানা যাক কারণগুলো কী ?

১. পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে যমজ সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে ৷ চিকিৎসকরা মনে করছেন এর প্রধান কারণ মাল্টিপল অবুলেশন (Multiple Obulation)। অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধ সেবন করা হয়, সেই ওষুধের সাইড এফেক্ট থেকে যমজ সন্তানের জন্ম হয়৷

২. টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে একাধিক ভ্রুণ মায়ের গর্ভে ট্রান্সফার করা হয়, এক্ষেত্রেও যমজ সন্তানের জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷
৩. বেশি বয়সে প্রেগন্যান্সি একটা বড় কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
৪. বংশগত কারণ

যেসব সমস্যা হতে পারে:
১. মা এবং বাচ্চা, দু’জনের শরীরেই বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়।
২. মূলত মায়ের শরীরে রক্তাস্বল্পতা দেখা যায় ৷প্রেসার বেড়ে যায়, রক্তক্ষরণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
৩ . ডেলিভারির পর রক্তস্রাব বেশি হয়। Infection এর ভয় থাকে।
৪. ডেলিভারির সময় সমস্যা হতে পারে।
৫. প্রি-টার্ম ডেলিভারির ক্ষেত্রে অনেক সময় মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ৷

বাচ্চার সমস্যা:
১. অপরিনত বাচ্চা
২. ওজন কম হয়
৩. নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটি
৪. জন্মের সময় মৃত্যুও হতে পারে৷

চিকিৎসা:
১. মাকে বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে।
২. পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে।
৩. ডেলিভারির আগে অর্থাৎ প্রেগন্যান্সির সময় অ্যানেমিয়া ধরা পড়লে অথবা রক্তক্ষরণ বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে ঘনঘন চেক-আপ করাতে হবে।
৪. অ্যানেমিয়া ঠেকাতে আয়রন ফলিক অ্যাসিডের পরিমান বাড়াতে হবে৷
৫. ডেলিভারির নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে এমন ভর্তি করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই