ম্যারাডোনা প্রতারক!

আর্জেন্টাইনদের কাছে পূজনীয় ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা তাদের কাছে ফুটবল ঈশ্বর। কারণ, কিংবদন্তী এই ফুটবলারের পর আর কেউ তাদের বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেননি।

ফুটবলের মাঠে রাজা হলেও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বিষয়ে সমালোচিত ম্যারাডোনা। সম্প্রতি আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বরকে প্রতারক বলেছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী ক্লদিয়া ভিলাফেনে।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের জন্য ভিলাফেনেকে দায়ী করে আসছিলেন ম্যারাডোনা। মঙ্গলবার মেয়ে গিয়ানিয়াকে নিয়ে বুয়েন্স এইরেসের একটি আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ভিলাফেনে। মিথ্যা অভিযোগে তাকে ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে ৫৩ বছর বয়সি ভিলাফেনে সাংবাদিকদের বলেন, ম্যারাডোনা একজন প্রতারক।

নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে খোওয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করতে অনেক আগেই আদালতের শরণাপন্ন হন ম্যারাডোনা। মঙ্গলবার মামলা চলাকালে উপস্থিত না থাকলেও একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বার্তা পাঠিয়ে ৫৪ বছর বয়সি ম্যারাডোনা বলেন, ‘হারানো সব টাকাই আমার। টাকা হারানোর সময় আমি কারো সমালোচনা করিনি এবং ভবিষ্যতেও করতে চাই না। আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাইনি, এটা আগেও করিনি। যাহোক, আমার টাকা ফিরিয়ে দিতে না চাইলে, যারা নিয়েছে তাদের অনুতপ্ত হতে হবে।’

১৯৯৮ সালে ভিলাফেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ম্যারাডোনার। ২০০৩ সাল পর্যন্ত তা বিদ্যমান ছিল। এ সময় ৬ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগে ভিলাফেনেকে দায়ী করছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেট। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর করা এক তদন্তে এ ঘটনার কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যয়বহুল মিয়ামি টাওয়ারসহ তিনটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক ভিলাফেনে। তাছাড়া উরুগুয়ের এক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ৩ মিলিয়ন ডলার নিয়েও তদন্ত চলছে।



মন্তব্য চালু নেই