ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট দেখে স্বামী নির্বাচনের আগে মেয়েরা যে ৮টি চিন্তা করে

এটা ডিজিটাল যুগ। আজকের দিনে যাঁদের উপযুক্ত বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড জোটেনি, তাঁরা নিজের জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী খুঁজে নেওয়ার জন্য অনেক সময়েই নির্ভর করেন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের উপর। মেয়েদের মধ্যেও অনেকেই পাত্রপাত্রী-ওয়েবসাইট থেকেই খুঁজে নিতে চান নিজের হবু স্বামীকে। কিন্তু এই ধরনের সাইটে কোনও ছেলের প্রোফাইল দেখে বেশ ভাল লাগলে, তার পর মেয়েটি কী ভাবে? কোন কোন দিক বিবেচনা করে সে? এখানে রইল তেমনই কয়েকটি চিন্তার হদিশ—

কুমারিত্ব হারানো মেয়েকে বিয়ে করতে ছুঁৎমার্গ আছে? প্রশ্ন শুনে বর যা বলল

১. ছবিটা সত্যি তো? ছবি দেখে তো ছেলেটাকে বেশ হ্যান্ডসাম বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু ছবিটা কি ওর নিজের? নিজের পিসতুতো কি মাসতুতো ভাই, কিংবা সাউথের কোনও অনামী অ্যাক্টরের ছবি নিজের প্রোফাইলে চিপকে রাখেনি তো ছেলেটা?

২. ছেলেটা যদি এতটা হ্যান্ডসামই হবে, তা হলে ম্যাট্রিমনি সাইটে কী করছে ও! এত দিনেও কোনও প্রেমিকা জুটল না হতভাগার! নির্ঘাৎ ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।

৩. আমার সঙ্গে তো দিব্যি মনভোলানো কথাবার্তা বলছে। বেশ লাগছে কথা বলতে। কিন্তু কে জানে, সে রকম প্লেবয় টাইপের ছেলে যদি হয়, তা হলে নির্ঘাৎ সবক’টা মেয়ের সঙ্গেই ব্যাটা এই ভাবেই আলাপ জমায়।

৪. আমাকে বিয়ে করব তো বলছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা সিরিয়াসলি ও খতিয়ে দেখেছে তো? পরে হয়তো বলবে, পুরোটাই প্র্যাকটিকাল জোক ছিল।

৫. কথাবার্তা তো বেশ ভালই লাগছে। মনে হচ্ছে, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড ভাল। ফিনান্সিয়াল পজিশনও খারাপ নয়। স্বামী হিসেবে বেশ ভাল হবে বলেই মালুম হচ্ছে। কিন্তু বিয়ের পর যদি দেখি ছেলেটা একেবারে মায়ের ন্যাওটা! তখন পারিবারিক ঝামেলা পোহাতে হবে এক গাদা।

৬. লোকটা বিছানায় কেমন? আমি ওকে স্যাটিসফাই করতে পারব তো, আমাকে কি তৃপ্ত করতে পারব লোকটা? কিছুই তো বুঝতে পারছি না।

৭. বিয়ের পর-পরই বাচ্চাকাচ্চার জন্য আবদার করবে না তো! তা হলেই তো ম্যারিটাল লাইফ-এর দফারফা।

৮. আমি যদি কখনও টায়ার্ড ফিল করি পরিবারের ঝক্কি সামলাতে সামলাতে, ও কি দিন কয়েকের জন্য সংসার-বাচ্চাকাচ্চা সামলে নিতে পারবে!



মন্তব্য চালু নেই