মোহাম্মদ আলীর বক্সিং শুরু যেভাবে

বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন সর্বকালের সেরা বক্সার মোহাম্মদ আলী ক্লে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট, পারকিনসন্সসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে কিংবদন্তি এই মুষ্টিযোদ্ধার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। ধর্মান্তরিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্সারের রয়েছে বর্ণাঢ্য এক খেলোয়াড়ি জীবন। ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন বিশ্বব্যাপী। তবে তার এই ক্যারিয়ার শুরুর পিছনে রয়েছে মজার এক গল্প।

সালটা ১৯৫৪। সে সময় একদিন মোহাম্মদ আলীর (ক্যাসিয়াস ক্লে) শখের সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। পুলিশ অফিসার মার্টিনের সহযোগিতায় পরে তা উদ্ধারও হয়। উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসারকে তখন মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি ওই সাইকেল চোরকে পেটাবো।’ তখন পুলিশ অফিসরাটি তাকে বললেন, ‘চোরকে পেটাতে হলে আগে লড়াই করতে শিখতে হবে।’ পুলিশ অফিসার মার্টিন ছিলেন একজন বক্সার এবং তিনি শহরে বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণও দিতেন। এই কথার প্রেক্ষিতে পরদিনই মোহাম্মদ আলী বক্সিং শেখা শুরু করেন মার্টিন এর কাছ থেকে। সে সময় তিনি (মার্টিন) তাকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে প্রজাপতির মত নেচে নেচে মৌমাছির মত হুল ফুটিয়ে লড়াই করতে হয়। আর এভাবেই শুরু হয় মোহাম্মদ আলীর বক্সিং ক্যারিয়ার।

১৯৬০ সালের অক্টোবরে তিনি প্রথমবারের মতো পেশাদার কোনো বক্সিংয়ে অংশ দিয়ে শিরোপা জেতেন। মোহাম্মদ আলীর এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ৬১টি লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ৫৬টিতে জয় লাভ করেছেন। এর মধ্যে ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৯টি লড়াইয়ে জয়লাভ করেন তিনি। যার মধ্যে ১৫টিই ছিল নকআউট পর্বের খেলা। ১৯৬০ সালে তিনি অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করেন।



মন্তব্য চালু নেই