মোদির সফর উপলক্ষে শত শত কাশ্মীরি আটক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সফরকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাপন্থি শত শত নেতা-কর্মীকে আটক করেছে রাজ্য সরকার। আগামী শনিবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন মোদি।

কাশ্মীর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদি শনিবার এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। ওই একই দিনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে রাজ্যের বিদ্রোহী এবং স্বাধীনতাপন্থি দলগুলো। তারা মোদির সমাবেশস্থলে বিক্ষোভ করার পায়তারা করছে। বিক্ষোভ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে স্বাধীনতাপন্থি নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন,‘ ভারত সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেছে। কিন্তু আমরা ওইদিন দশ লাখ মানুষ সঙ্গে নিয়ে মোদির সভাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।’

রাজ্যের স্বাধীনতাপন্থি দলগুলোর সমর্থন নিয়ে এ ধরনের র‌্যালির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একসময় গৃহবন্দি থাকা গিলানি। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করেন যাচ্ছে এক ডজনের বেশি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

গিলানি আরো বলেছেন,‘আমরা তার (মোদি) সমাবেশে কোনো নাশকতা করতে চাই না। কেবল বিশ্ববাসীকে কাশ্মীরের ওপর জাতিসংঘে বিভিন্ন সময়ে গৃহীত ১৮টি প্রস্তাব স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যেখানে কাশ্মীরীদের জাতিগত অধিকার স্বীকার করে নেয়া হয়েছিল।’

মোদির সফর নিষ্কণ্টক করতে গত কয়েকদিনে রাজ্যটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শত শত নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র‌্যালির পক্ষে যাতে প্রচারণা চালাতে না পারে এজন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এক ডজনের বেশি সামাজিক সাইট। ফলে কাশ্মীরে ইন্টারনেট যোগাযোগ একপ্রকার বন্ধই রয়েছে। শনিবার মোদির ওই সফরকে কেন্দ্র করে টেলিফোন ও মোবাইল যোগাযোগও নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ লোকজনের গতিবিধির ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে। ফলে রাজ্যের সড়ক আর মহাসড়কগুলো একপ্রকার জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (পিডিপি) নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি জম্মু-কাশ্মীরে জোট সরকার গঠনের পর ওই রাজ্যে মোদির এটিই প্রথম সফর। পিডিপি নেতারা তার এ সফরকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবেই দেখছেন।



মন্তব্য চালু নেই