ভারত স্পিকারের আশ্বাস

মোদির বাংলাদেশ সফরেই তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেই তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। মঙ্গলবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।

প্রতিনিধি দলের নেতা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে সংসদ সদস্য মো. নবী নেওয়াজ, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মিলন, আবুল কালাম আজাদ, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কবি কাজী রোজী ও রাজী মো. ফখরুল উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দেলনে ভারতের সহোযোগিতা ও সিপিএ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান।

জবাবে ভারতের স্পিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন, সীমান্ত চুক্তিসহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এছাড়াও ডেপুটি স্পিকার ভুটান ও মালদ্বীপের স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে আইপিইউ’র কো-অর্ডিনেটিং কমিটি অব উইমেন পার্লামেন্টারিয়ান্সের শূন্য পদে সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খান ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটির সদস্য পদে আবুল কালাম আজাদকে নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে সম্মেলন চলাকালে পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব ওআইসি কান্ট্রির (পিইউআইসি) সঙ্গে বৈঠকে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘ইসলামের নামে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হবে। ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কখনো সমর্থন করে না। সকল প্রকার সন্ত্রাস বন্ধে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ইসলামের নামে উগ্রপন্থি সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের উপর যে নারকীয় হামলা চালাচ্ছে সেটা নিন্দনীয় অপরাধ। এসব সন্ত্রাস বন্ধে সকল ইসলামী রাষ্ট্রসগুলোর সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের সন্ত্রাসের বিপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই