মোটরসাইকেল কেনার জন্য দালালের কাছে স্ত্রীকে বিক্রি!

সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের স্ত্রীকে বিক্রি করে দিলেন এক ব্যাক্তি৷ ভারতের মধ্যপ্রদেশের বৈতুল জেলায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে৷ আসলে ওই ব্যাক্তির একটি মোটরবাইক কেনার ইচ্ছে ছিল৷ তবে সাধ থাকলেও সাধ্য নেই তাই স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকায় বেচে তিনি ওই টাকা দিয়ে একটি বাইক কিনে নিলেন৷

ওই ব্যাক্তির একটি দেড় বছরের ছেলেও আছে যে তার বড় ভাইয়ের কাছে রয়েছে৷ মহিলাকে তার স্বামী এক দালালের কাছে বিক্রি করার পর ওই দালাল অন্য এক ব্যক্তির কাছে ওই মহিলাকে আরও চড়া দামে বিক্রি করে দেয়৷ মহিলার বাবা পুলিশের কাছে মেয়ে নিঁখোজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করলে ঘটনার কথা সামনে আসে৷ এসপির আদেশে পুলিশ তদন্তে নেমে নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করে৷

পুলিশ জানিয়েছে, আদিবাসী ওই মহিলার সঙ্গে চার বছর আগে সাহেব লাল উদকের বিয়ে হয়৷ তাদের একটি দেড় বছরের সন্তান রয়েছে৷ কিছু মাস আগে হঠাৎই ওই মহিলা নিখোঁজ হয়ে যায়৷ তার পরিবারের লোকেরা তার খোঁজ শুরু করলেও লাভের লাভ হয়নি৷ কিছু বাদে হঠাৎ একদিন ওই মহিলা তার কাকিকে ফোন করে জানায় তাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে৷ এই ঘটনা শোনার পর মহিলার বাবা বুঝতে পারেন তার জামাই মেয়েকে বিক্রি করে সেই টাকায় মোটরবাইক কিনেছে৷ তখনই তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার কথা জানান৷ পুলিশ এই মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে খোঁজ শুরু করে৷

পুলিশের দল প্রথমে দালালের বাড়িতে গেলে তারা সেখানে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ এরপর তারা মহিলাকে খুঁজতে শুরু করলে গুনা জেলার চাচৌড়া গ্রামে মহিলাকে পাওয়া যায়৷ মহিলা পুলিশকে জানান যে তার স্বামী তাকে গত চার জুন কাজের জন্য ভুপাল নিয়ে আসে এবং সেখানে তার ভাইয়ের বাড়িতে তাদের সন্তানকে রেখে তাকে নিয়ে রাজগড় চলে আসে৷ সেখানেই তার স্বামী তাকে দালালের হাতে তুলে দিয়ে পালিয়ে যায়৷ ওই দালালের কাছ থেকেই মহিলা জানতে পারে যে তার স্বামী তাকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে৷ এর কিছুদিন পর ওই দালাল মহিলাকে চাচৌড়া গ্রামের এক বাসিন্দা দিলীপ পালিওয়ালের কাছে বিক্রি করে দেয়৷ দিলীপ পালিওয়াল ওই মহিলাকে জোরজবরদস্তি বিয়ে করে ও তার ধর্ষণ করে৷

মহিলাকে উদ্ধার করার পর পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সাহেব লাল উদকে, দালাল অরবিন্দ মীনা ও দিলীপ পালিওয়ালের বিরুদ্ধে মানব পাচারের ধারায় মামলা দায়ের করেছে৷



মন্তব্য চালু নেই