মেয়ে এবং পুরুষের যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয় যেসব খাবার

যৌন উদ্দীপনা বাড়িয়ে দেয় এমন হাজারো খাদ্যের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিন্তু এমন খাদ্যও আছে, যা কারো যৌন আকাঙ্ক্ষাকে কমিয়ে দেয়। নিচে এমন কিছু খাদ্যের নাম দেয়া হলো।

টিনজাত খাদ্য
বেশির ভাগ টিনজাত খাদ্যে বেশি পরিমাণ সোডিয়াম ও সামান্য পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। টিনজাত খাদ্য মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তের স্বাভাবিক গতিতে বাধার সৃষ্টি করে।

অ্যালকোহল
এক গ্লাস মদ যৌন আগ্রহ বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু অনেক বেশি অ্যালকোহল সেবনে এর উল্টোটা ঘটে। এটা পুরুষের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এ অভ্যাস থেকে যত বেশি বেরিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।

পনির
গরুর দুধ থেকে তৈরি পনির এখন সুপার মার্কেটে খুবই সহজলভ্য। পনির ছাড়া অনেকের নাশতাই যেন জমে না। পনিরকে হরমোন ও অ্যান্টিবডি তৈরির কৃত্রিম উৎসও মনে করা হয়। তবে বেশি মাত্রায় পনির খেলে শরীরে এস্ট্রোজেন-জাতীয় পদার্থের নিঃসরণ হয়, যা মানুষের যৌন আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। এমনকি এর প্রভাবে যৌনশক্তি লোপ পেতেও পারে।

কফি
অতিরিক্ত কফি পান মূত্রথলির ক্ষতি করে। কফি যৌন ও থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।

সয়া
সয়াবিন থেকে তৈরি বেশিরভাগ পণ্যই সাইটোয়েস্ট্রোজেন নামে একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এটি পুরুষ ও নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী যারা সয়া পণ্য ভোগ করে তাদের মধ্যে যৌন আগ্রহ কম।

পুদিনা পাতা
সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা অনেক বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু যৌন জীবনের জন্য এটি মোটেও ভালো নয়। এটি শরীরে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হরমোন টেসটোসটের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা শরীরকে ঠাণ্ডা করে দেয় এবং যৌন আগ্রহ কমিয়ে দেয়। তাই সুগন্ধির জন্য পুদিনা বাদ দিয়ে আদা খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আদা অনেক ভালো।

যষ্টিমধু
যষ্টিমধু দিয়ে তৈরি চা খেতে অনেকেই অভ্যস্ত। যষ্টিমধু শরীরে করটিসলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে শরীরে টেসটোসটের মাত্রা কমে যায়। ফলে মানুষের যৌন আচরণে এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই যষ্টিমধুর চায়ের পরিবর্তে সবুজ চা খাওয়া যেতে পারে।

কর্ন ফ্ল্যাক্স
কর্ন ফ্ল্যাক্সে ব্যবহৃত চিনি রক্তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যা টেসটোসটের মাত্রা কমিয়ে দেয়। টেসটোসটের মাত্রা কমে গেলেই মানুষের যৌন আগ্রহ কমে যায়।

কৃত্রিম চিনি
কৃত্রিম চিনি শরীরে সেরোটোনিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। মানুষের সুখ অনুভব, কিংবা তাদের মানসিক অবস্থা এই সেরোটোনিনের উপর নির্ভরশীল। সেরোটোনিনের অভাবের কারণে মানুষের মাথা ব্যাথা করে, তারা হতাশা ও বিরক্তিতে ভোগে। যা যৌন আগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে ডোপামিন। কৃত্রিম চিনি মানবদেহের এই পদার্থটিকে প্রভাবিত করে।



মন্তব্য চালু নেই