মেয়েকে ধর্ষণ করে জেল খাটছেন বাবা

নিজ কন্যাকে ধর্ষনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পিতার তিন বছরের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। গত বছরের মে মাস থেকে ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি কারাদণ্ড ভোগ করছেন। নিজের ২০ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।

ওই পাষণ্ড পিতা একজন পাকিস্তানী নাগরিক এবং গালফ নিউজ তাকে এম খ ধ নামে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে ওই লোক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেছিলেন। তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি বলেন, ডায়াবেটিকসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তার মাথা ঠিক ছিল না। এ সময় তিনি নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করেন।.

গালফ নিউজে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই লোক নিজের দেশ পাকিস্তানে থাকতেই প্রথম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। আদালতের কাছে দেয়া মেয়ের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, দেশে থাকতে তার জন্য একটি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তার বাবা এতে রাজি হননি। তিনি মেয়েকে বলেছিলেন, এই ছেলে তার উপযুক্ত নয়। বিয়ের সম্বন্ধ আসার পর পরই তিনি মেয়েটিকে প্রথমবারের মত ধর্ষণ করেন। এরপর তার বিয়ে হয়। কিন্তু সে বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর সে আরব আমিরাতে বাবার কাছে চলে আসেন।

বাবা-মেয়ে মিলে রাস আল খাইমা এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। এ সময় এক লোক তাকে ফের বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার বাবা এ প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন এবং মেয়ের ওপর দ্বিতীয়বারের মতো পাশবিক নির্যাতন চালান।

এ ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মেয়েটি। রাস আল খাইমাহ আদালত গত বছর নিজ কন্যাকে ধর্ষণ করার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।  তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী সে সময় দাবি করেছিলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় কোনো ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তার সে যুক্তি ধোপে টিকেনি।



মন্তব্য চালু নেই