‘মেয়েকে একা স্কুলে পাঠানো ছিল সবচেয়ে বড় ভুল’

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্কুলে যাওয়ার পথে ১৪ বছরের এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর কিশোরীর বাবা বলেছেন, মেয়েকে একা স্কুলে পাঠানো ছিল তার সবচেয়ে বড় ভুল। আর এ ভুল সারা জীবন তাকে তাড়া করবে।

বৃহস্পতিবার দিল্লির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে ছয়জনের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
পুলিশ বলেছে, এ ছয়জন ধর্ষণকারী মেয়েটিকে রাস্তা থেকে তুলে একটি নিরিবিলি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে রাস্তার পাশে পার্ক করে গাড়ির ভেতরে ধর্ষণ করে। ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী একজন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার ও পাঁচজনকে আটক করে।

আটককৃতরা হচ্ছেন- রাহুল (১৯), সুরাজ (১৯), সন্দীপ (২১), রামেশ (২৭) চঞ্চল (২০) এবং আমসান (২৩)। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রুহুল তার প্রতিবেশী ও পরিচিত, তবে বাকীদের সে চেনে না। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মেয়েটি বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে রুহুল গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে উঠতে বলে। কিন্তু মেয়েটি না উঠায় গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজন নেমে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় একঘন্টা পর তারা দিচাও গ্রামে গিয়ে গাড়ি পার্ক করে এবং গাড়ির ভেতরেই তাকে ধর্ষণ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ তড়িৎ গতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তারা ওই স্থান থেকে চলে যেতে উদ্যত হয়েছিল। পুলিশ আসার আগেই আমান সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর এটিকে ধর্ষণ বলে নিশ্চিত করেছে ডাক্তাররা।’

মেয়েটি পুলিশকে জানায়, তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। এসময় পুলিশকে কিছু বললে তার ছোট ভাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ধর্ষণকারীরা।



মন্তব্য চালু নেই