মেডিকেলে ভর্তিচ্ছুদের মানববন্ধনে বাধা, আটক ৪

২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে করা মানববন্ধনে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশ চারজনকে আটক করে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আটকদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়েছিলো। মানববন্ধনে ভর্তিচ্ছুদের সাথে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়েছে তাই বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কেউ রাস্তায় নামতে পারেন না। তাই তাদের নিষেধ করা হয়েছিলো। এরপরও মানববন্ধনের চেষ্টা করলে তাদের আটক করে থানায় আনা হয়।

এদিকে আটকদের মুক্তির দাবি করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। ঘটনার পরপর এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্যও জোর দাবি জানান তারা।

গত শুক্রবার ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে দেশব্যাপী ২৩টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৫৮.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগের রাতেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, যা হুবহু পরদিন পরীক্ষায় এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

গতকাল রবিবার একই অভিযোগ ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ই্‌উনুছ আলী আকন্দ রিট করেন । এর আগে শনিবার দুপুরে কুরিয়ার সার্ভিসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে এক উকিল নোটিশ পাঠান তিনি।

একইসঙ্গে বিএনপিও ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানায়। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় দলের নেতারা।

এদিকে পরীক্ষা চলাকালীনই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক সহকারী পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে র‌্যাব। এর আগে গত বুধবার রাজধানীর মহাখালী থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছিলো।



মন্তব্য চালু নেই