মেট্রোরেল নির্মাণে কাজ শুরু করছে জাইকা

ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও মেট্রোরেল রুট-১ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা।

মঙ্গলবার সকালে জাইকার সদর দফতরে সংস্থার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দোমিচি হিদেকির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাপান সফররত সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও মেট্রোরেল রুট-১ নির্মাণে অর্থায়নের প্রস্তাব ছাড়াও মেট্রোরেল রুট-৫, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত চর জানাজত সংযোগ, ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া-কালনা সংযোগ সড়ক, পাঁচগাছি সেতু, সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরারগাছ সড়ক নির্মাণে জাইকার মাধ্যমে জাপান সরকারের অর্থায়নের প্রস্তাব করেন।

মন্ত্রী ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট-৬ নির্মাণ, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ, ঢাকা মহানগরীর জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিবহণ পরিকল্পনা (এসটিপি) হালনাগাদকরণ এবং ই-টিকিটিংয়ের ক্লিয়ারেন্স হাউস স্থাপনে জাইকার অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

জাইকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৌশলগত পরিকল্পনা হালনাগাদকরণের পাশাপাশি মেট্রোরেল রুট-১ ও ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। যমুনা নদীর ওপর দিয়ে একটি রেলসেতু নির্মাণে জাপান সরকার অর্থায়ন করবে বলে এ সময় জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ খাতের প্রকল্পসমূহ এগিয়ে নিতে জাইকা কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে।

এ সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য জাপান সরকার ও জাপানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান। মেট্রোরেল-৬-এর কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।

জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। দেশের রয়েছে বিশাল তরুণ শ্রমশক্তি। তিনি দেশের অগ্রগতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার ড. জীবন রঞ্জন মজুমদার, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব আবদুল মালেকসহ সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী টোকিও মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় টিকিটিং সিস্টেম, নিরাপত্তাব্যবস্থা, যাত্রী-ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই