মেজর তানভীর অবশেষে কলারোয়ায় পুলিশের জালে আটক

বহু প্রতারণা ও অপকর্মের হোতা ক্রস ফায়ার ও মামলায় জড়ানোর হুমকিদাতা ভুয়া মেজর তানভীর দুই সহযোগিসহ অবশেষে কলারোয়া থানা পুলিশের জালে আটক হয়েছে।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কলারোয়ার কাজীরহাট-গয়ড়াগামী রাস্তা থেকে তাদের একটি নম্বর বিহীন পালসার মটরসাইকেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাকধারী ৪টি পরিচয়পত্র, ইংরেজীতে লাল অক্ষরে ডিজিএফআই লেখা ৩টি পরিচয়পত্র, বাংলাদেশ গোয়েন্দা মহাপরিচালক(ডিজিএফআই) লেখা ২টি পরিচয়পত্র, ৩টি মোবাইল ফোনসহ আটক করে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা।

থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম সাংবাদিকদের জানান, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে থানার এসআই শেখ শোয়েব আলী, এসআই সুব্রত কুমার সরদারসহ সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স বীট এলাকায় ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাজীরহাট গয়ড়াগামী রাস্তার মুখে অবস্থান করাকালে ওই ৩ জনকে আটক করেন।

আটকৃতরা হলো-পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া মোড়লপাড়ার মৃত ফয়জুদ্দিন মোড়লের পুত্র মোঃ মোশারফ হোসেন ওরফে মেজর তানভীর(৩৮), সাতক্ষীরার বলাডাঙ্গার মৃত সফর আলী বিশ্বাস এর পুত্র এবং কলারোয়ার ঝিকরা গ্রামের বাবর আলীর জামাতা মোঃ আসাদুল ইসলাম (৩৩) ও সাতক্ষীরা আলিপুরের মৃত মোহাম্মাদ আলী গাজীর পুত্র মোঃ আমিরুল ইসলাম (২০)।

আটককৃত ভুয়া মেজর তানভীর গোটা জেলার সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিসহ বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে মেজর পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে অর্থ লুটে আসছে।

থানার ওসি জানান, সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকার সনামধণ্য ব্যবসায়ীসহ সম্মানী ব্যক্তিদের নিকট নিজেকে ডিজিএফআই এর খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার পরিচয় দিয়ে কখনো মোবাইলে, কখানো প্রকাশ্যে হাজির হয়ে ক্রস ফায়ারে মৃত্যু ঘটানো ও মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে বহু লোকের নিকট হতে লক্ষ কোটি টাকা চাঁদা গ্রহণসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডিজিএফআই এর মেজর পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায়ের হুমকি প্রদর্শন করেছে মর্মে জনশ্রুতি রয়েছে। তার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে দারুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, তার আটকের সংবাদ প্রচার হলে এমন ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ থানায় এসে তাদের সাথে করা প্রতারণার বর্ণনা দেন। যাদের একজন উপজেলা রাজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের পুত্র ব্যবসায়ী মোঃ মনিরুল ইসলাম থানায় হাজির হয়ে আটককৃতদের সনাক্ত করে জানান, ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করে নগদ ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। এজাহারে ওই ৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই