মৃত প্রেমিকের শুক্রাণু নিয়ে প্রেমিকার গর্ভধারণ!

ইচ্ছা ছিল বাবা হওয়ার। কিন্তু তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিল প্রাণ। আর এখান থেকেই শুরু ভালবাসার এক নতুন অধ্যায়ের। মৃত প্রেমিকের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে তার শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহে উদ্যোগী হল প্রেমিকা।

স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে এল অর্থ। নিরুপায় প্রেমিকা তাদের স্বপ্নের বার্তা নিয়ে অনলাইনে সাহায্যের আবেদন জানালেন। তাদের ‘ভালবাসার ইস্তেহার’কে সম্পূর্ণতা দিতে এগিয়ে এলেন জানা-অজানা অনেক বন্ধু। জোগার হল টাকা। প্রেমিকের শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে স্থাপন করা হলো প্রেমিকার গর্ভে। আর তাতেই মৃত প্রেমিকের ঔরস জাত সন্তানের মা হতে চলেছেন প্রেমিকা।

এই ঘটনার শুরুটা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে এক সপ্তাহ। মার্কিন যুবক ক্যামেরুন রবিনেট। বছর ২৫-এর এই যুবকের বড় সাধ ছিল বাবা হওয়ার। নিজের সেই ইচ্ছার কথা প্রেমিকা স্টেফেনি লুকাসকে জানিয়েছিলেন তিনি। স্টেফানিও ক্যামেরুনের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন। একদিকে বিয়ের প্রস্তুতি সারার সঙ্গে সঙ্গেই দু’জনে চেষ্টা করছিলেন বাবা-মা হওয়ার।

গত সপ্তাহের শুক্রবার হঠাৎ করেই ছিঁড়ে গেল তারটা। ভবিষ্যতের সুখের বাসা তৈরির আশা বুকে করে বাড়ি খুঁজতে গিয়ে বেড়িয়ে ছিলেন ক্যামেরুন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ি খোঁজার সময় ভয়াবহ মোটর বাইক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি।

হাসপাতালে তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ে শেষ পর্যন্ত হার মানতে তাকে। মারা যান ক্যামেরুন। কিন্তু তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরুনের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটতে দিতে চাননি প্রেমিকা স্টেফেনি। ভগ্নহৃদয় স্টেফানি ডাক্তারদের জানান ক্যামেরুনের বাবা হওয়ার ইচ্ছার কথা। ডাক্তাররা জানান মৃত্যুর একদিনের মধ্যে ক্যামেরুনের শরীর থেকে স্পার্ম সংগ্রহ করে স্টেফানির গর্ভে স্থাপন করলে মা হতে পারেন তিনি। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন ১১ হাজার মার্কিন ডলার।

সময় কম। নেই প্রয়োজনীয় অর্থও। কিন্তু হাল ছাড়েননি ২২ বছরের স্টেফানি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে তাদের ভালবাসার স্বপ্নের কথা বিস্তারিত জানিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন তিনি। তাদের কথা শোনার পর এগিয়ে আসেন বহু অজানা বন্ধুরা। একদিনের মধ্যেই তাদের সাহায্যে উঠে আসে প্রয়োজনীয় অর্থ।

মৃত ক্যামেরুনের শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে স্টেফানির গর্ভে স্থাপন করেন ডাক্তাররা। স্টেফানি এখন গর্ভবতী।

নিজের মা হতে চলার খবরের কথা শুনে আনন্দে কাঁদতে কাঁদতে স্টেফানি জানিয়েছেন ক্যামেরুন বাবা হতে চেয়েছিল। আমি ওর স্বপ্নকেই সফল করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।



মন্তব্য চালু নেই