মৃত্যুর আগে নৃশংস অত্যাচার করা হয় নেতাজির উপর, নতুন বইয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত বছর সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নথি নিয়ে বেশ হইচই পড়ে যায়। সেখানে বলা হয়, তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনাতেই ‘মৃত্যু’ হয়েছিল নেতাজির। ‘বোসফাইল্‌স ডট ইনফো’ নামে ওই ওয়েবসাইটে জানানো হয়, জাপান সরকারের করা তদন্তের রিপোর্ট তৈরি হয়েছিল ১৯৫৬ সালের জানুয়ারি মাসে। সেটি তখনই টোকিওয় ভারতীয় দূতাবাসকে দেওয়া হয়। কিন্তু নথিটি ‘গোপন’ বলে কোনও পক্ষই তা প্রকাশ করেনি।

ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতে আবারও এক নতুন তথ্য উঠে এল নেতাজির মৃত্যু নিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জি ডি বক্সির লেখা ‘বোস: দ্য ইন্ডিয়ান সাম্যুরাই— নেতাজি অ্যান্ড দ্য আইএনএ মিলিটারি অ্যাসেসমেন্ট’ বইটিতে সামনে এসেছে অজানা কিছু খবর।

নেতাজির মৃত্যু বিমান দুর্ঘটনাতে হয়নি। ওই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছিল যাতে তিনি লোকচক্ষুর অন্তরালে যেতে পারেন। এবং সেই সুযোগে নেতাজি পালিয়ে যান সোভিয়েত ইউনিয়নে। মূলত জাপানের গোয়েন্দা দফতর থেকেই দুর্ঘটনার খবর ছড়ানো হয়েছিল। টোকিওর তৎকালীন সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত, জেকব মালিকের সাহায্যে সাইবেরিয়ায়, আজাদ হিন্দ-এর শাখা নির্মাণ করতে সমর্থ হন সুভাষচন্দ্র। পরবর্তীকালে সাইবেরিয়া থেকে তিনি তিনবার রেডিওতে ব্রডকাস্ট-ও করেন। এরপরেই নেতাজিকে ‘ইন্টারোগেট’ করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজরা। এবং এই জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়, বলে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল জি ডি বক্সি। সেই নির্যাতনের ফলেই মৃত্যু হয় নেতাজির। -এবেলা।



মন্তব্য চালু নেই