মুসা ইব্রাহীম কী রাজনীতির আশ্রয় নিচ্ছেন!

নেপাল মাউন্টিয়ারিং এসোসিয়েশন (এনএমএ)’র প্রকাশিত স্মরনিকায় বাংলাদেশের এভারেস্ট জয়ীদের তালিকায় নাম নেই মুসা ইব্রাহীমের এমনই খবর প্রকাশের সাথে সাথে প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্ট বিজয়ী’র দাবিদার মুসা ইব্রাহীমের দাবি, সত্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে বির্তক শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি এর আগেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। পাশাপাশি মুসার প্রশ্নবিদ্ধ কৃতিত্বের কাহিনী এবং ভুল তথ্যসহ বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে ঢুকে পরায় বিষয়টি আরো লেজেগুবড়ে হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সদুত্তর না দিয়ে তিনি কিছুটা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে, পুরো বিষয়টি আরো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পর্বতারোহী এবং দেশের বিভিন্ন মহল মুসার দাবি এবং এভারেস্টে ওঠার বিষয়গুলো যখন চুল চেঁড়া বিশ্লেষণ করছে ঠিক তখন বিভিন্ন টকশো এবং সামাজিক গণমাধ্যমে বিষয়টিকে যুক্তির বাইরে থেকে একটি “রাজনৈতিক” রূপ দেওয়ার চেষ্টা করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসবের সাথে যুক্ত হচ্ছেন দেশের বিখ্যাত অনেকেই; এমনকি মুসা ইব্রাহীম স্বয়ং। মুসা ইব্রাহীমকে ঘিয়ে সুস্পষ্ট চারটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যার উত্তরগুলো তিনি এখনও দেননি। প্রশ্ন চারটি হলো –

১. লাংসিশা-রি পর্বত বিতর্ক: মুসা ইব্রাহীম লাংসিশা-রি পর্বত পুরোটা আরোহন না করেই সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন। এই মিথ্যা সার্টিফিকেট সংগ্রহ প্রমাণিত হয়েছে।

২. চুলু ওয়েস্ট অভিযান বিতর্ক: চুলু ওয়েস্ট পর্বতে আরোহন না করেই তিনি ও তার দল দাবী করেছিলেন যে তারা পর্বত জয় করেছিলেন। এবং ঢাকায় এসে সংবর্ধনা নিয়েছিলেন। এটাও প্রমাণিত হয়েছে।

৩. এভারেস্ট বনাম অন্নপূর্ণা: দৈনিক প্রথম আলোতে নিজের লেখায় অন্নপূর্ণা পর্বতকে এভারেস্ট বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। এবং পরবর্তীতে কোথাও সেই ভুল স্বীকার করা হয়নি।

৪. এভারেস্ট বিজয়ের প্রমাণ: এভারেস্ট বিজয়ের প্রমান হিসেবে তিনি কয়েকটি স্পন্সরের ছবি প্রকাশ করেছেন। এবং মাত্র একটি ছবি চূড়া থেকে তোলা বলে দাবি করেছেন। তার ক্যামেরায় কেন আর ছবি নেই, কিংবা এভারেস্টের মতো সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে তিনি কেন আর ছবি তুলতে পারেননি, সেগুলো এখনও ব্যাখ্যা করেননি। একই সাথে তার উপরে ওঠা এবং নামা নিয়ে একেক জায়গায় একেক রকমের তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি না হয়ে, তিনি ভিন্ন পথে বিষয়টি মোকাবেলা করার চেস্টা করছেন।

মুসা ইব্রাহীম এখন অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন; তিনি দেশে এসে যুক্তি এবং প্রমান দেবেন বলে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। এবং যা কিছু প্রচার এবং প্রকাশিত হয়েছে তাতে তিনি ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর না দিয়ে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথের তার ৪ বছর আগের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তা ফেসবুকে দিচ্ছেন। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার পুরনো ছবিগুলোকে নতুন করে মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে মুসা ইব্রাহীম সবাইকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাথের তার ৪ বছর আগের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন

এর আগে, এটিএন নিউজে মুসা ইব্রাহীম বিষয়ক একটি টকশো’তে উপস্থিত ছিলেন অতিথি পর্বতারোহী এনাম তালুকদার এবং ফোনোলাইভে দৈনিক প্রথম আলো’র উপ-সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হক। উক্ত অনুষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন মন্তব্য একটু ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যায় সেগুলো আসলে যুক্তির বাইরে থেকে নোংরা রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র। পর্বতারোহী এনাম তালুকদার বললেন, ‘ যারা মুসার এভারেস্টে ওঠা নিয়ে সন্দেহ করছে তারা জামাত-শিবির’আর আনিসুল হক বলেছেন, ‘আপনি যদি বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধু দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, আপনি যদি বিশ্বাস করেন সাইদীর ছবি চাঁদে দেখা যায়নি, আপনি যদি বিশ্বাস করেন মানুষ চাঁদে গেছে, তাহলে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে মুসা এভারেস্টে উঠেছে।’ একই অনুষ্ঠানে আনিসুল হক যুক্তি দেখান যে, মুসা ইব্রাহীম তার চোখে চোখ রেখে বলেছে যে সে এভারেস্টে উঠেছে।

সামাজিক গণমাধ্যমে এখন সবাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, মুসা ইব্রাহীম সরাসরি প্রশ্নগুলোর উত্তর গনমাধ্যমে না দিয়ে কেন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এভারেস্ট বিজয়ী বলেছেন, “এভাবে রাজনৈতিক হাতকে ব্যবহার করে বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করাটা দুঃখজনক। একটা জাতি এই সামান্য বিষয়টি সমাধান করতে পারছে না, সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর। তার দেয়া ছবি এবং তথ্যপ্রমানগুলো যদি কোনও একটি বিশেষ কমিটি পুনঃর্বিবেচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে, তাহলে একটি চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে।”

নেপাল মাউন্টিয়ারিং এসোসিয়েশন (এনএমএ)’র প্রকাশিত স্মরনিকায় বাংলাদেশের এভারেস্ট জয়ীদের তালিকায় নাম নেই মুসা ইব্রাহীমের এই খবর প্রকাশের সাথে সাথে প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্ট বিজয়ী’র দাবিদার মুসা ইব্রাহীমের দাবি, সত্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে বির্তক শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি এর আগেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। পাশাপাশি মুসার প্রশ্নবিদ্ধ কৃতিত্বের কাহিনী এবং ভুল তথ্যসহ বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে ঢুকে পরায় বিষয়টি আরো লেজেগুবড়ে হয়ে গেছে। তাকে নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর সদুত্তর না দিয়ে তিনি কিছুটা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে, পুরো বিষয়টি আরো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পর্বতারোহী এবং দেশের বিভিন্ন মহল মুসার দাবি এবং এভারেস্টে ওঠার বিষয়গুলো যখন চুল চেঁড়া বিশ্লেষণ করছে ঠিক তখন বিভিন্ন টকশো এবং সামাজিক গণমাধ্যমে বিষয়টিকে যুক্তির বাইরে থেকে একটি “রাজনৈতিক” রূপ দেওয়ার চেষ্টা করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসবের সাথে যুক্ত হচ্ছেন দেশের বিখ্যাত অনেকেই; এমনকি মুসা ইব্রাহীম স্বয়ং।

মুসা ইব্রাহীমকে ঘিয়ে সুস্পষ্ট চারটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যার উত্তরগুলো তিনি এখনও দেননি। প্রশ্ন চারটি হলো –

১. লাংসিশা-রি পর্বত বিতর্ক: মুসা ইব্রাহীম লাংসিশা-রি পর্বত পুরোটা আরোহন না করেই সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন। এই মিথ্যা সার্টিফিকেট সংগ্রহ প্রমাণিত হয়েছে।

২. চুলু ওয়েস্ট অভিযান বিতর্ক: চুলু ওয়েস্ট পর্বতে আরোহন না করেই তিনি ও তার দল দাবী করেছিলেন যে তারা পর্বত জয় করেছিলেন। এবং ঢাকায় এসে সংবর্ধনা নিয়েছিলেন। এটাও প্রমাণিত হয়েছে।

৩. এভারেস্ট বনাম অন্নপূর্ণা: দৈনিক প্রথম আলোতে নিজের লেখায় অন্নপূর্ণা পর্বতকে এভারেস্ট বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। এবং পরবর্তীতে কোথাও সেই ভুল স্বীকার করা হয়নি।

৪. এভারেস্ট বিজয়ের প্রমাণ: এভারেস্ট বিজয়ের প্রমান হিসেবে তিনি কয়েকটি স্পন্সরের ছবি প্রকাশ করেছেন। এবং মাত্র একটি ছবি চূড়া থেকে তোলা বলে দাবি করেছেন। তার ক্যামেরায় কেন আর ছবি নেই, কিংবা এভারেস্টের মতো সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে তিনি কেন আর ছবি তুলতে পারেননি, সেগুলো এখনও ব্যাখ্যা করেননি। একই সাথে তার উপরে ওঠা এবং নামা নিয়ে একেক জায়গায় একেক রকমের তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।

কিন্তু এই প্রশ্নগুলোর মুখোমুখি না হয়ে, তিনি ভিন্ন পথে বিষয়টি মোকাবেলা করার চেস্টা করছেন।

# মুসা ইব্রাহীম এখন অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করছেন; তিনি দেশে এসে যুক্তি এবং প্রমান দেবেন বলে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। এবং যা কিছু প্রচার এবং প্রকাশিত হয়েছে তাতে তিনি ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর না দিয়ে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথের তার ৪ বছর আগের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তা ফেসবুকে দিচ্ছেন। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার পুরনো ছবিগুলোকে নতুন করে মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এর মাধ্যমে মুসা ইব্রাহীম সবাইকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সাথের তার ৪ বছর আগের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করছেন

এর আগে, এটিএন নিউজে মুসা ইব্রাহীম বিষয়ক একটি টকশো’তে উপস্থিত ছিলেন অতিথি পর্বতারোহী এনাম তালুকদার এবং ফোনোলাইভে দৈনিক প্রথম আলো’র উপ-সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হক। উক্ত অনুষ্ঠানে তাদের বিভিন্ন মন্তব্য একটু ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যায় সেগুলো আসলে যুক্তির বাইরে থেকে নোংরা রাজনীতির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।

# পর্বতারোহী এনাম তালুকদার বললেন, ‘ যারা মুসার এভারেস্টে ওঠা নিয়ে সন্দেহ করছে তারা জামাত-শিবির’

# আর আনিসুল হক বলেছেন, ‘আপনি যদি বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধু দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট, আপনি যদি বিশ্বাস করেন সাইদীর ছবি চাঁদে দেখা যায়নি, আপনি যদি বিশ্বাস করেন মানুষ চাঁদে গেছে, তাহলে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে মুসা এভারেস্টে উঠেছে।’

# একই অনুষ্ঠানে আনিসুল হক যুক্তি দেখান যে, মুসা ইব্রাহীম তার চোখে চোখ রেখে বলেছে যে সে এভারেস্টে উঠেছে।

সামাজিক গণমাধ্যমে এখন সবাই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, মুসা ইব্রাহীম সরাসরি প্রশ্নগুলোর উত্তর গনমাধ্যমে না দিয়ে কেন রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এভারেস্ট বিজয়ী প্রিয়.কম-কে বলেছেন, “এভাবে রাজনৈতিক হাতকে ব্যবহার করে বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করাটা দুঃখজনক। একটা জাতি এই সামান্য বিষয়টি সমাধান করতে পারছে না, সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর। তার দেয়া ছবি এবং তথ্যপ্রমানগুলো যদি কোনও একটি বিশেষ কমিটি পুনঃর্বিবেচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে, তাহলে একটি চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারে।”

– See more at: http://www.priyo.com/2014/04/15/63573-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%AE#sthash.4exRmgpL.dpuf



মন্তব্য চালু নেই