মুসলিম নারীদের একাকী ৪৮ মাইল ভ্রমণ জায়েজ নয়!

মুসলমান নারীরা একা ৪৮ মাইলের বেশি ভ্রমণ করতে পারবেন না।স্বামী বা নিকট কোনো পুরুষ স্বজন ছাড়া নারীর এই ভ্রমণ জায়েজ নয়।সম্প্রতি ব্রিটিশ মুসলিম গ্রুপের দেয়া এই ফতোয়া নিয়ে বিশেষ করে ব্রিটেনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা মেইল অনলাইন একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।

ব্ল্যাকবার্ন মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের ঐ ফতোয়ায় বলা হয়েছে, স্বামী বা ঘনিষ্ঠ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া ৪৮ মাইলের বেশি ভ্রমণ বা প্রায় তিন দিন টানা হাঁটা জায়েজ নয়। সংগঠনটির ওয়েব সাইটে একজনের প্রশ্নের উত্তরে এই ফতোয়া দেয়া হয়। তাদের ওয়েব সাইটে ‘প্রশ্ন ও সমাধান’ নামে একটি বিভাগ রয়েছে। যেখানে শরীয়তসম্মত উপায়ে সামাজিক এবং আর্থিক বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান দেয়া হয়।

মুসলিম এই গ্রুপটি ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আসছে এবং মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন(এমসিবি) এর শাখা হিসেবেও এটি তালিকাভুক্ত। সংগঠনটির ওয়েব সাইটে পুরুষদের দাঁড়ি রাখা এবং নারীদের মুখ ঢেকে রাখার কথাও বলা হয়েছে।

ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সমতাবিষয়ক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং বলেন, আধুনিক ব্রিটেনে এই ধরনের উপদেশের কোনো স্থান নেই এবং এটি মর্যাদাহানিকর।

ব্রিটিশ রক্ষণশীল দলের এমপি ডেভিড ডেভিসের ‘লিঙ্গ সমতা’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রিনিং এ কথা বলেন।

জাস্টিন গ্রিনিং আরও বলেন, সংগঠনটি যে মতবাদ প্রকাশ করেছে তা মর্যাদাহানিকর এবং অগ্রহণযোগ্য। তাদের বক্তব্য আমাদের ব্রিটিশ মূল্যবোধকে বিতর্কিত করেছে। আমি মনে করি, ব্ল্যাকবার্ন মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনকে খুব পরিষ্কারভাবে এবং প্রকাশ্যে তাদের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত।

অক্সফোর্ডভিত্তিক স্কলার এবং এমসিবি শিক্ষা কমিটির সাবেক প্রধান ড: শেখ হোজাত রামজি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ফতোয়া আপত্তিকর। এই ধরনের বিধিনিষেধ নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়। এগুলো বহু পুরাতন প্রথা। কোনো নারী যদি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকলে এই নিয়ম অনুসরণ করা হত। ইসলামের শুরুর দিকে এই নিয়ম প্রচলিত ছিল। আমি মনে করি, নারীদের অবাধ চলেফেরায় কোনো মুসলিম পুরুষকে বাধানিষেধ আরোপ করা উচিত নয়।



মন্তব্য চালু নেই