মুশফিক নেই; সৌম্যকে বাদ দেওয়ার ফল কী হলো?

সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পর দর্শকরা হয়তো মনে মনে একজনকে খুঁজছিলেন। তিনি আর কেউ নন, মুশফিকুর রহীম।

‘মি. ডিপেন্ডেবল’ তকমা যার গায়ে। কিন্তু ইনজুরি আক্রান্ত মুশিকে সহসাই পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্তত ২ সপ্তাহের আগে তো নয়ই। প্রথম ম্যাচে ব্যার্থতার দরুণ বাদ দেওয়া হলো সৌম্য সরকারকে। কিন্তু লাভ কি কিছু হলো?
চেনা মাঠ নেলসনে এর আগে সর্বোচ্চ রান চেজ করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই মাঠেই আজ বোলারদের তাণ্ডবে মাত্র ২৫১ রানে কিউইদের বেঁধে ফেলেও সিরিজে ফিরতে পারল না টাইগাররা। ১ ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। যার দায় একচেটিয়াভাবেই ব্যাটসম্যানদের উপর দেওয়া যায়। বোলাররা তাদের কাজ ঠিকঠাকভাবেই করে গেলেন, কিন্তু কী করলেন ব্যাটসম্যানরা? ইমরুল, তামিম, সাব্বির, সাকিব, মাহমুদ উল্লাহ এবং নাইটওয়াচম্যান তরুণ মোসাদ্দেক- তারকাদের লিস্ট কিন্তু কম দীর্ঘ নয়। সাব্বিরের সেই দৃষ্টিকটু রানআউটের পর এই ব্যাটিং লাইনআপটাই ছোট হয়ে আসল দ্রুত। কিউদের বোলিংয়ে যতটা নয়, বাজে শট খেলতে গিয়ে ধসে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।

‘পেস অলরাউন্ডার’ হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার দৃশ্যমান টানা ব্যর্থতার জন্যই দ্বিতীয় ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু তার রিপ্লেসমেন্ট কোথায়? খালি জায়গা পূরণ করতে অভিষেক হলো তানভীর হায়দারের। ৮ ওভার বোলিং করে ৪৭ রান দিয়ে উইকেট শুন্য থেকে ব্যাট করতে নেমেও করেন মাত্র ২ রান! অথচ অনুশীলনে এই তানভীর নাকি ব্যাটে-বলে কোচের মন জয় করেছিলেন। মুশফিকের জায়গায় আরেক অভিষিক্ত নুরুল হাসান দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন! তবে কিপার হিসেবে তিনি বেশ দক্ষতার পরিচয় দেন।

দলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা (১৭)। তার চেয়ে ১ রান কম করেন এই মাঠেই ৯৫ রানের ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল। এছাড়া আর কেউ দুই অংকে পৌঁছতে পারেনি। মাহমুদ উল্লাহ (১), সাকিব (৭), মোসাদ্দেক (৩), তানভীর (২), তাসকিন (০) এবং অভিষিক্ত বোলার শুভাশিস রায় (১*)। শুভাশিস বল হাতেও ১০ ও্ভারে ৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। বিদেশের মাটি, বিরুপ কন্ডিশন ইত্যাদি কারণ ছাপিয়ে যেন আজ সেই পুরনো অ-পেশাদারিত্ব ফুটে উঠল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঝে!



মন্তব্য চালু নেই