মুম্বাই ট্রেন বিস্ফোরণ : ৫ জনের ফাঁসি

মুম্বাইয়ে চলন্ত ট্রেনে ২০০৬ সালে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর সাত জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত।

দীর্ঘ ৮ বছর পর বুধবার মুম্বাইয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে সেই নারকীয় বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় পশ্চিম ভারতীয় শহর মুম্বাইয়ের একটি আদালত এ রায় দিলেন। ২০০৬ সালে পরপর সাতবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ট্রেনটিতে। এতে ১৮৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। প্রায় ৮০০ জন মারাত্মকভাবে আহত হন।

পাকিস্তানী মদদপুষ্ট ইসলামি জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।। কিন্তু পাকিস্তান বরাবরই এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।

আসামিপক্ষের একজন আইনজীবী রায় ঘোষণার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে এসে গণমাধ্যমের কাছে অভিযুক্ত একজনকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। রায়কে সাজানো বলে মন্তব্য করে তিনি সুবিচারের জন্য রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

মুম্বাই রেলওয়ে যাত্রী পরিবহনের জন্য বিশ্বের অন্যতম একটি ব্যস্ততম রেলওয়ে। প্রতি বছর প্রায় ৮০ লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করা হয় এই রেলওয়েতে। ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সন্ধ্যায় সাতটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে ট্রেনটিতে। বোমাগুলো সাতটি প্রেসার কুকারে বহন করা হয়েছিল। যেগুলো ১৫ মিনিট অন্তর বিস্ফোরিত হয়। বোমাগুলো মাতুঙ্গা, খার, মাহিম, যোগেশ্বরী, বরিভালী এবং মিরা রোড এলাকাগুলোতে বিস্ফোরিত হয়। এর মধ্যে দুটি বোমা রেলস্টেশনে বিস্ফোরিত হয়। বোমা হামর‌্য মূল লক্ষ্য ছিল প্রথম শ্রেণীর কামরাগুলো।

দীর্ঘ আটবছর ধরে প্রায় ২০০ জনের সাক্ষ্য প্রদানের পর বুধবার আদালত এ রায় দেন। আদালত জানান, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। আদালত আরও বলেন, সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানী জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়েবা। আদালত ঘটনায় ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামিক ছাত্র আন্দোলনেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেন। অপরদিকে পাকিস্তান জানায় আদালত হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই