মুম্বইয়ে কাজ করতেই বেশি পছন্দ, বললেন সোনালি

কলকাতায় কি এই প্রথমবার?
নাহ্, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। এর আগে ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে পি সি চন্দ্রের একটা শ্যুট করেছিলাম। খুব ভাল অভিজ্ঞতা ছিল। বাড়ির জন্য এখানকার মিষ্টিও নিয়ে গিয়েছিলাম। আর সবচেয়ে বড় কথা, কলকাতার মানুষ খুব ভাল। বড় মিষ্টি কথা বলেন।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘ফ্যাট সে ফিট’ ক্যাপশনে একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। ফ্যাট থেকে ফিট হওয়ার ফান্ডাটা কী?

ইনস্টাগ্রামে ছবিটা পোস্ট করেছিলাম বটে। বুঝতে পারিনি, লোকে ব্যাপারটা নিয়ে এত আলোচনা করবে! আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে হলে তো ফ্যাট থেকে ফিট হতেই হয়। আমি তো শুরুটাই করেছিলাম ক্যালেন্ডার গার্ল হিসেবে। প্রথমেই শ্যুটের জন্য আমাকে বিকিনি পরতে বলা হয়েছিল। নির্দেশ ছিল, যেন হট এবং সেক্সি দেখতে লাগে। তাই ওজন কমাতেই হয়েছিল। দু’মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট করতে হতো প্রচুর।

যাঁরা নতুন মডেলিং শুরু করবেন তাঁদের জন্য কোনও টিপ‌্‌স?
অনেক সময় ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে নতুন প্রতিভাদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। উঠতি মডেলরা সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন। আত্মবিশ্বাসটা খুব জরুরি। ট্যালেন্ট থাকলে মানুষ পছন্দ করবেনই।

মডেলিংয়ে ট্যালেন্টই কি শেষ কথা?
ট্যালেন্ট থাকলে জায়গা করে নিতে সুবিধে হয়। তবে সব ইন্ডাস্ট্রির মতো এখানেও রাজনীতি চলে। ভাল-মন্দ সবই রয়েছে।

আপনার এ রকম কোনও অভিজ্ঞতা রয়েছে?
আসলে আমি খুব ভাগ্যবান। আমার দিদি অনেক আগে থেকেই মডেলিং করছে। তাই আমায় খুব একটা অসুবিধেয় পড়তে হয়নি। প্রথমেই অতুল কসবেকরের মতো ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিলাম। শুরুটাই হল কিংগফিশারের ক্যালেন্ডার শ্যুট দিয়ে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।

উজ্জ্বলার মতো আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করতে চান নিশ্চয়ই?
এখনই আলাদা করে বিদেশে কাজ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। কয়েকবছর পর ভেবে দেখতে পারি! দিদি ওখানে খুবই ভাল কাজ করছে। আরও অনেকেই এখন বাইরে কাজ করছে। খুব ভাল কিছু পেলে হয়তো যাব।

ফিল্মেই তাহলে মন দিতে চান?
হ্যাঁ। দু’টো ছবি করেছি। ‘এক্সপোজে’ আমার ডেবিউ ছিল। তারপর ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’তে কাজ করেছিলাম। ‘বিগ বস্‌’এ অংশ নিয়েছি। পরবর্তী কাজ সঞ্জয় শর্মার সঙ্গে, একটা হরর এবং থ্রিলার। নাম, ‘দ্য প্যারানর্মাল’। সঞ্জয়ের সঙ্গে আরেকটা ওয়েব সিরিজেও কাজ করব।



মন্তব্য চালু নেই