মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ৬৫: আপিল বিভাগে বহাল

সরকারি চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ বিষয়ে করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।

আদালতে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া।

২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ করতে রিট করেন জামাল উদ্দিন। এ রিটের শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ৬০ দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকার। সোমবার আপিল বিভাগ সরকারের এ আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানান আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া। এখন রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়ঃসীমা ৬৫ বয়স করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করতে হবে।

২০০৬ সালের ১২ জুলাই এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চাকরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসর গ্রহণের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই সময় বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই