মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের পূর্বে ইয়াহিয়ার দিনগুলো: নিক্সন, সপ্তম নৌবহর ও নুরজাহান

তেসরা ডিসেম্বর, ১৯৭১। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার এডিসি, স্কোয়াড্রন লিডার আর্শাদ সামি খাঁকে ডেকে বলেছিলেন যে বিকেল ঠিক চারটের সময় জেনারেল হামিদ ইসলামাবাদে রাষ্ট্রপতি ভবনে আসবেন। তারা এমন একটা জায়গায় যাবেন, যেটার কথা নিজের এডিসি-কে বলতে পারবেন না আগে থেকে।

চারটের সময়ে জেনারেল হামিদ তার নিজের মিলিটারি জিপ চালিয়ে এসেছিলেন। জিপে তার পাশেই চড়ে বসেছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। আর দুজন এডিসি পিছনের আসনে। বিপত্তি বাধল শুরুতেই। কোথা থেকে একটা বড় শকুন এসে জিপের সামনে বসে পড়ল।

হর্ণ দেওয়া হল, কিন্তু তাতেও শকুনটার নড়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না। ইয়হিয়া খান জিপ থেকে নেমে গিয়ে হাতের ব্যাটনটা দিয়ে শকুনটাকে সরানোর চেষ্টা করলেন। তা-ও সে নড়ে না! শেষমেশ বাগানে কাজ করা এক মালী দৌড়ে এসে হাতের কোদালটা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে খোঁচা দিয়ে শকুনটাকে সরালো ওখান থেকে।

দুই জেনারেলকে নিয়ে জিপ এগুলো। তারা চারজন একটা ভবনের সামনে পৌঁছিয়েছিলেন কিছুক্ষণ পরে, যেটাকে বাইরে থেকে দেখলে গুদাম মনে হবে। হর্ণ বাজাতেই এক রক্ষী বাইরে এসে যখনই জেনারেল ইয়াহিয়াকে দেখল, সঙ্গে সঙ্গে স্যালুট করে দরজা খুলে দিল।

ভবনের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল রহিম খাঁ। ওই ভবনটি আসলে ছিল পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর সদর দপ্তর – সাধারন মানুষের চোখের আড়ালে রাখা হয়েছিল সেটিকে। ভেতরে যখন বৈঠকে বসছেন সবাই, ততক্ষণে পাকিস্তানের এফ-৮৬ বোমারু বিমানগুলি ভারতের ওপরে হামলা করার জন্য উড়ে গেছে।

আধঘন্টার বৈঠকের পরে যখন জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ফিরে যাওয়ার সময় হল, তখনই বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শুরু করল। জেনারেল খানের এডিসি আর্শাদ সামি বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “দেখলাম খুব নিচু দিয়ে বেশ কয়েকটা যুদ্ধ বিমান উড়ে গেল। ইয়াহিয়া খান ড্রাইভারকে ইঞ্জিন বন্ধ করে, আলো নিভিয়ে দিতে বলেছিলেন। তখন উল্টোদিক থেকে আরও কয়েকটা বিমান উড়ে আসতে দেখলাম। ইয়াহিয়া খান বেশ গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন এগুলো আমাদের ইন্টারসেপ্টার বিমান।”

আসলে ৭১-এর যুদ্ধটা তখন ইয়াহিয়া খানের প্রত্যাশার ঠিক উল্টো দিকে গড়াচ্ছিল। চারদিক থেকেই ব্যর্থতার খবর আসছে। চীন থেকে কোনও সাহায্য পাওয়ার আশা ত্যাগ করেছেন তিনি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে ফোন করেছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া, কিন্তু নিক্সন তখন একটা বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।

আর্শাদ সামি খাঁ বলছিলেন, “১৩ ডিসেম্বর রাত প্রায় দুটোর সময়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের টেলিফোন অপারেটর আমাকে জানিয়েছিলেন যে প্রেসিডেন্ট নিক্সন ফোন করেছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। টেলিফোন লাইনটা খুব খারাপ ছিল। জেনারেল আমাকে ঘুম জড়ানো গলায় বলেছিলেন আমি যেন অন্য টেলিফোনে সব কথা শুনি আর লাইন যদি কেটে যায় তাহলে আমি-ই যেন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাই।”

প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কথার মূল বিষয়টা ছিল যে তিনি পাকিস্তানের সুরক্ষার জন্য খুবই চিন্তিত আর তাই সাহায্যের জন্য সেভেন্থ ফ্লিট (সপ্তম নৌবহর) বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা করিয়ে দিয়েছেন। “নিক্সনের ফোন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেনারেল ইয়াহিয়া আমাকে বললেন জেনারেল হামিদকে ফোন কর। হামিদ ফোনটা ধরতেই ইয়াহিয়া প্রায় চিৎকার করে বলেছিলেন, উই হ্যাভ ডান ইট। আমেরিকান্স আর অন দেয়ার ওয়ে,” বলছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার আর্শাদ সামি খাঁ।

সেভেন্থ ফ্লিট পরের দিন তো দূরের কথা, ঢাকার পতনের দিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে পৌঁছায়নি। শেষমেশ দেশকে দুটুকরো করে ‘নিজের ধার পরিশোধ’ করতে হয়েছিল জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে! কোন ঋণ পরিশোধ করেছিলেন তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে দিয়ে?

জেনারেল এস কে সিনহা তার আত্মজীবনী ‘আ সোলজার রিমেমবার্স’-এ লিখেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ-এর কাছে ইয়াহিয়া খানের সেই ধার নেওয়ার কাহিনি। ১৯৪৭ এ স্বাধীনতার সময়ে মানেকশ আর ইয়াহিয়া – দুজনেই দিল্লিতে সেনা সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।

ইয়াহিয়ার অনেক দিনের পছন্দ ছিল মানেকশ-এর লাল রঙের মোটরসাইকেলটা। ১৯৪৭-এ যখন ইয়াহিয়া পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন, তখন মানেকশ নিজের লাল মোটরসাইকেলটা ইয়াহিয়াকে এক হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পাকিস্তানে পৌঁছিয়েই টাকাটা তিনি মানেকশ-কে পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু সেটা তিনি ভুলে যান।

৭১-এর যুদ্ধের পরে মানেকশ মজা করে বলেছিলেন ‘ইয়াহিয়া খানের চেক আসবে বলে ২৪ বছর অপেক্ষা করেছি, কিন্তু চেক আর আসেনি। সেই ৪৭-এ যে ধার করেছিলেন, নিজের দেশের অর্দ্ধেকটা দিয়ে সেই ধার শোধ করলেন ইয়াহিয়া।’

ইয়াহিয়া খানের যে শুধু মানেকশ-এর লাল মোটরসাইকেলের প্রতি নজর ছিল, তা না। তার নারী প্রীতিও সবাই জানে। তাকে ‘লেডিজ ম্যান’ বলা হত। অনেক নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল – যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী ‘মালিকা-এ-তরন্নুম’ – নূরজাহান।

জেনারেল ইয়াহিয়া নূরজাহানকে নূরি বলে ডাকতেন, আর তিনি ইয়হিয়াকে ‘সরকার’ বলে সম্বোধন করতেন। নূরজাহান আর ইয়াহিয়ার সম্পর্ক নিয়ে একটা গল্প শোনাচ্ছিলেন আর্শাদ সামি।

“একবার করাচিতে ইয়াহিয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে এক আসরে বসেছিলেন। বেশ অনেক রাতে আমাকে ডেকে বললেন, নূরজাহানের একটা নতুন গান বেরিয়েছে ‘মেরি চিচি দা’ নামে। বন্ধুরা বলছে এই গানটা সবেমাত্র বেরিয়েছে, এখনও নাকি বাজারে আসে নি। কিন্তু ইয়াহিয়া বন্ধুদের চ্যালেঞ্জ করে বলে দিয়েছেন যে তার এডিসি, অর্থাৎ আমি, ওই গানের রেকর্ডটা যেভাবেই হোক যোগাড় করে আনতে পারব,” বলছিলেন আর্শাদ সামি।

সেদিনের কথা মনে করে স্কোয়াড্রন লিডার সামি বলছিলেন, “গানটার লাইন মনে করতে করতে আমার নিজের ঘরে পৌঁছলাম, কিন্তু ঘরে গিয়ে গানের কলিটা ভুলে গেলাম। আমার স্ত্রীকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম নূরজাহানের নতুন গানটার কথা ও জানে কী না, যেটা ‘চ’ দিয়ে শুরু হয়েছে! আমার স্ত্রী কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে দিল, ‘মেরি চিচি দা’।

এবার সেই গানের রেকর্ড খুঁজে বের করার পালা। রাত এগারোটায় গাড়ি আনিয়ে করাচির গোড়ি বাজার গেলেন আর্শাদ সামি। সব দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ গলি – ও গলি ঘুরে শেষমেশ একটা রেকর্ডের দোকান খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। দরজায় ধাক্কা দিয়ে মালিককে ঘুম থেকে তুলে বলেছিলেন নূরজাহানের নতুন রেকর্ডের কথা।

সেই ভদ্রলোক জানিয়েছিলেন পরের দিন সকালে আসতে। কিন্তু জেনারেল ইয়াহিয়া বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বসে আছেন যে তার এডিসি ওই রেকর্ড নিয়ে আসবেই। আর্শাদ সামি সেই দোকানীকে বলেছিলেন, “না ভাই, কাল সকালে না, আজই লাগবে। একজনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েছি যে আজকেই রেকর্ডটা যোগাড় করব। যা দাম চাইবেন, তাই দেব।”

দোকানী হয়তো মি. সামিকে ভেবেছিল বিগড়ে যাওয়া কোনও নবাবপুত্তুর। দোকান খুলে রেকর্ডটা বার করে দিয়েছিল্ সেই সময়ে রেকর্ডের দাম ছিল পাঁচ টাকা। আর্শাদ সামি ৫০ টাকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন দোকানীকে।

সেই রেকর্ড নিয়ে গিয়ে ইয়াহিয়া খানের হাতে দিতেই তিনি খুশিতে ফেটে পড়েছিলেন। শুধু নারীতে নয়, সুরাতেও অসম্ভব আসক্ত ছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। পার্টিতে যাওয়া ছিল তার একটা অন্যতম শখ। একবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া। সঙ্গে ছিলেন আর্শাদ সামি খাঁ।

সামি বিবিসিকে বলছিলেন, “ইয়াহিয়া এক দিন সন্ধ্যায় আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, পার্টিতে যাবে? আমি হ্যাঁ বলতেই তিনি জানতে চেয়েছিলেন আমি কোন গাড়ি ব্যবহার করি। মার্সিডিজের কথা বলতেই তিনি বলেছিলেন আজ অন্য কোনও গাড়ি নাও। ড্রাইভারকে বলে দেবে তোমার ঘরের পাশে পার্ক করে রাখতে। ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে দিও। ঠিক রাত নটা পাঁচ মিনিটে পিছনের বারান্দার কাছে এসে গাড়ির লাইট নিভিয়ে দেবে, পেছনের দরজাটা খুলে রাখবে। আমি নটা ১৫-এ গাড়িতে উঠব। একটা চাদর দিয়ে ঢেকে দেবে আমাকে। কেউ যেন বুঝতে না পারে গাড়িতে কে আছে।”

সেই মতোই জেনারেল ইয়াহিয়াকে নিয়ে ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে বেরিয়েছিলেন আর্শাদ। তবে কিছুদূর গিয়েই পেছন থেকে চালকের পাশের আসনে চলে আসেন ইয়াহিয়া। আরও একটু পরে তিনি বলেন ‘মিসেস খন্দকারের জন্য ফুল কিনতে হবে। বন্ধু মি. খন্দকারের বাড়িতে পৌঁছে নিজের হাতেই দরজায় বেল দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া।

“খন্দকার সাহেব তো দরজায় ইয়াহিয়া খানকে দেখে অবাক। তিনি ভাবতেও পারেন নি যে সাইরেন না বাজিয়ে, লোকলস্কর না নিয়ে চুপচাপ ইয়াহিয়া তার বাড়িতে পৌঁছে যাবেন! তবে ইয়াহিয়া অবাক হয়ে যাওয়া বন্ধুকে বলেছিলেন, ‘কী কানু, তুমি ভেতরে যেতে বলবে না?’ ভারী চেহারা নিয়েও পার্টিতে খুব ভাল নাচতে পারতেন ইয়াহিয়া। সেই রাতে মি. খন্দকারের পার্টিতে যতজন মহিলা ছিলেন, প্রত্যেকের সঙ্গে নেচেছিলেন ইয়াহিয়া। মাঝে মাঝে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন যে আমার ঘুম পাচ্ছে কী না,” বিবিসি হিন্দিকে বলছিলেন আর্শাদ সামি খাঁ।

ইয়াহিয়ার আরেকটা শখ ছিল লোকজনকে উপহার দেওয়া। এডিসি আর্শাদকে প্রথম দিনেই বলে দিয়েছিলেন যে সবসময়ে যেন দেশ-বিদেশের অতিথিদের দেওয়ার জন্য কিছু উপহার মজুত থাকে। একবার বেগম ইয়াহিয়ার এক বান্ধবী ঢাকা থেকে তার সঙ্গে দেখা করতে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তারা দুজনে চা খাচ্ছিলেন, আর জেনারেল গলফ খেলে ফিরেছিলেন তখন।

আর্শাদ সামি বলছিলেন, “বেগম ইয়াহিয়া ফার্সিতে জেনারেলকে বলেছিলেন যে সেদিন তার বান্ধবীর জন্মদিন। ইয়াহিয়া জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কী উপহার দিতে পারেন? ওই মহিলা খুব সঙ্কোচ নিয়ে বলেছিলেন, আপনার ব্যবহার করা কোনও কিছু দিন। ইয়াহিয়া বলেন ওই সময়ে তো গলফ টি-শার্ট, প্যান্ট আর জুতো ছাড়া আর কিছু নেই! ওগুলো তো কোনও মহিলাকে দেওয়া যায় না!”

“তারপরেই তার খেয়াল হয় যে একটা তোয়ালে রুমাল আছে, ঘামে ভেজা। তবে পরক্ষণেই তিনি বলেন আরও একটা জিনিষ আছে। আপনি চোখ বন্ধ করে আমার দিকে হাত বাড়ান। ওই মহিলা চোখ বন্ধ করে হাত বাড়াতেই ইয়াহিয়া নিজের হাত থেকে সোনার রোলেক্স ঘড়িটা খুলে ওই মহিলার কব্জিতে পরিয়ে দেন। ভদ্রমহিলা চোখ খুলে ঘড়িটা দেখেই বলেন যে এটা তো খুব দামী জিনিষ, এটা আপনি ফিরিয়ে নিন। ইয়াহিয়া জবাব দিয়েছিলেন, একবার উপহার দেওয়া কোনও কিছু ফেরত নেওয়া যায় না,” বলছিলেন আর্শাদ সামি।

৭১-এর যুদ্ধটাও যেন অনেকটা সেরকমই ছিল ইয়াহিয়া খানের কাছে। একবার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার পরে আর যুদ্ধটাকে নিজের কব্জায় ফিরিয়ে আনতে পারেননি তিনি। তবে তার জন্য ইয়াহিয়া আর তার অন্য জেনারেলদের অত্যধিক আত্মবিশ্বাস-ই অনেকটা দায়ী বলে মনে করেন সত্তরের দশকে পাকিস্তানের বিদেশ সচিব হিসাবে কাজ করা সুলতান মুহম্মদ খাঁ।

তিনি নিজের আত্মজীবনী ‘মেময়ার্স এন্ড রিফ্লেকশন অফ আ পাকিস্তানী ডিপ্লোম্যাট’ বইতে লিখেছিলেন, “ইয়াহিয়া খান এটা বিশ্বাস করতে তৈরি ছিলেন না যে ভারত পূর্ব পাকিস্তানে হস্তক্ষেপ করবে। সেই সময়ে পাকিস্তানের সেনা জেনারেলদের মধ্যেও এই ভুল ধারণা ছিল যে তারা ছররা বন্দুক দিয়েই বাঙালিদের মাথা নত করিয়ে দিতে পারবে, কারণ বাঙালিরা যুদ্ধ করতে জানে না। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে তারা কতটা ভুল ছিলেন।”

আর্শাদ সামি খাঁর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি হিন্দির রেহান ফজল। সূত্র : বিবিসি



মন্তব্য চালু নেই