মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে কারা সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত ষষ্ঠ ব্যক্তির ফাঁসি রায় কার্যকর হলো।

কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের বলেন, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে সময় ফাঁসি কার্যকর হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এর আগে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সকাল থেকেই শুরু হয় কর্মতৎপরতা। সকাল থেকেই গাজীপুরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কাশেমপুর কারাগারের চারপাশে বসানো হয় বাড়তি চেকপোস্ট।

কারাগারে সিভিল সার্জন ও অ্যাম্বুলেন্স
কারাফটকে ৮টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ পুলিশের তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। পরে ৮টা ৫০ মিনিটে সিভিল সার্জন ডা. হায়দার আলী খান অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কারাগারে প্রবেশ করেন।

কারাগারে আইজি প্রিজন্স
সন্ধ্যা ৭টার দিকে আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশ করেন।

ঢাকা ও গাজীপুরে বিজিবি মোতায়েন
মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ছয় প্লাটুন এবং গাজীপুরে চার প্লাটুন।

স্বজনদের সাক্ষাৎ
বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে কারাগারে শেষ সাক্ষাৎ করতে আসেন মীর কাসেমের পরিবারের সদস্যরা। ৪২ জনের ওই দলের ৩৮ জন সদস্য মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান। প্রায় আড়াই ঘণ্টার সাক্ষাৎ শেষে পৌনে ৭টায় কারাগার থেকে তারা বের হন।

কারাগারে অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে প্রথমে কারাগারে আসেন অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল ইকবাল কবির। পরে ডিআইজি প্রিজন্স গোলাম হায়দারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কারাফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।



মন্তব্য চালু নেই