মীর কাসেমের পাওয়া সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘অস্বস্তি’

মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনায় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সময়ের আবেদন আদালতে এক মাস মঞ্জুর হওয়ায় ‘অস্বস্তি’ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এক মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী ‘অস্বস্তি’ প্রকাশ করেন। বৈঠকসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদের ওই সদস্য বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামীকে এক মাস সময় দেয়া হয়নি, মীর কাসেম আলীকে কেন দেয়া হল?’

এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিষয়টি অস্বস্তিকর।’

চলতি বছরেই মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সোমবার সকালে জামায়াতের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য এলে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতের কাছে প্রস্তুতির জন্য দুই মাস সময় চান।

শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৪ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক করে দেন। আদেশে বলা হয়, এর পর আর সময় দেয়া হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মীর কাসেমের সময় আবেদন আদালতে মঞ্জুর হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই ঠিক হয় না। রিভিউ এমন কোনো বিষয় নয় যে এক মাস সময় দিতে হবে।’

মীর কাসেমের এটাই আইনি লড়াইয়ের শেষ সুযোগ। রিভিউ আবেদন নাকচ হলে ফাঁসি এড়াতে তিনি শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আগস্ট মাসে জঙ্গিরা একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

অন্য এক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গলির মধ্যে ফ্ল্যাট নিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ঠিক নয়। বৈধ কাগজপত্র থাকলে করতে পারে। যাদের কাগজ নেই, তাদেরকে উচ্ছেদ করতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই