মিয়ানমারে প্রাচীন মসজিদে আগুন দিয়েছে চরমপন্থীরা

মিয়ানমারের রাখাইন চরমপন্থীরা রাথেডাউংয়ে একটি প্রাচীন মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় মসজিদটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। খবর রোহিঙ্গা ভিশনের।

রাখাইন যুবকদের একটি দল যায়েদি পিয়িন গ্রামের ওই মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিলে স্থানীয় রোহিঙ্গা মুসলিমরা তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। রোহিঙ্গাদের প্রচেষ্টায় এক সময় আগুন নিয়ন্ত্রণেও আসে।

এরপর কয়েকশ রাখাইন এসে পুড়িয়ে দেয়া মসজিদ এলাকা ঘেরাও করে রাখেন। রাথেডাউংয়ের এক রোহিঙ্গা জানান, কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তবে তারা কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেননি। রাখাইন চরমপন্থীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারাও জনগণের ওপর হামলার চেষ্টা করছেন। কিছু মানুষ এখানে সত্যিই খুব বিপদের মধ্যে আছে বলেও জানান তিনি।

১৮৯২ সালে ওই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। স্থানীয় কিছু মানুষের বিশ্বাস, রাখাইন রাজনীতিবিদ ও মিয়ানমার সরকারের কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তি আরাকান রাজ্যে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

রাখাইন সংবাদ মাধ্যম রাখাইন গেজেট জানায়, রাথেডাউংয়ের ওও ফাউক গ্রামে মঙ্গলবার মুখোশধারী দুই ব্যক্তি ২৪ বছর বয়সী রাখাইন নারীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। এ সময় তার ১২ বছরের মেয়ের কান থেকে সোনার দুল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। আক্রমণের শিকার ওই নারী রাথেডাউংয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় দুজন ব্যক্তি মুখোশ পরে থাকলেও তাদের রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে তারা স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মতো করে কথা বলছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইয়ের ওই ঘটনার জেরে ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই প্রাচীন মসজিদটি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে মিয়ানমারের বুথিডাওং পৌরসভার একটি প্রাচীন মসজিদ বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ভেঙে ফেলা ওই মসজিদটি ২শ বছরের পুরনো।



মন্তব্য চালু নেই