মিশরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জতের গাড়ি জব্দ

শুল্ক আইন অমান্য করায় মিশরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জতের গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

রোববার রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক জোনের ১ নম্বর রোড, ১১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬ কোটি টাকা মূল্যের রেঞ্জ রোভার গাড়িটি জব্দ করা হয়।

গাড়িটির মডেল হলো-সাদা রং, রেঞ্জ রোভার vogue ২০১৪, জিপ গাড়ি (হলুদ রংয়ের প্লেট নং-দ৬৮-০১৬)।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সকালে শুল্ক গোয়েন্দার একটি তদন্ত দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গাড়িটি জব্দ করেছেন। গাড়িটি মিশরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ব্যবহার করতেন। যা পরবর্তী সময়ে অবৈধভাবে হস্তান্তর করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। গাড়িটি ইন্ট্রাকো গ্রুপ ও হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রিয়াদ আলীর স্ত্রী হুদা আলী সেলিম ব্যবহার করতেন।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা যায়, ঢাকায় মিশরীয় রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত ওই গাড়িটি অবৈধভাবে শুল্ককর পরিশোধ না করে হস্তান্তর করেছেন। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনীত এই গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন ব্যতিরেকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তদন্ত দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়িটি জব্দ করেছে। জব্দকৃত ২৯৯৩ সিসির সাদা গাড়িটি ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল শুল্ক সুবিধায় কোনো ধরনের শুল্ক পরিশোধ ছাড়া আনা হয়। যেখানে গাড়িটিতে শুল্ক ছিল ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর শুল্ক-করসহ গাড়িটির মূল্য ৬ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, গাড়িটি ইন্ট্রাকো গ্রুপ ও হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রিয়াদ আলীর স্ত্রী হুদা আলী সেলিম ব্যবহার করতেন। তিনি হলুদ রংয়ের নম্বর প্লেট দিয়ে গত ৬ মাস ধরে ব্যবহার করছেন। অথচ তিনি ওই মিশরীয় কূটনৈতিক থেকে বৈধ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করেছেন এমন তথ্য শুল্ক গোয়েন্দার কাছে দিতে পারেননি। অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

সূত্র জানায়, এনবিআরের স্থায়ী আদেশ (আদেশ নং ১০০/২০০০) অনুযায়ী বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের কার্যকাল শেষ হওয়ার আগে তাদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনীত গাড়িগুলো যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এনবিআর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিকট আবেদন করার কথা। এরপর ওই গাড়ি বিক্রি ও হস্থান্তর করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু মিশরের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সেই পথ অনুসরণ না করেই দেশত্যাগ করেছেন।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি নভেম্বরে একই অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন কূটনৈতিকের গাড়ি জব্দ করেছিল শুল্ক গোয়েন্দারা।



মন্তব্য চালু নেই