মিল্কি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৮ আগস্ট

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেন সোমবার এ দিন ধার্য করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল রবিবার। পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ না করায় ২০১৪ সালের ৯ জুন মামলার বাদী ও নিহত মিল্কির ভাই রাশেদ হক খান মিল্কি মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে দেওয়ার আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০১৪ সালের ১৭ জুন আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই বিপণিবিতানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে মিল্কির এক সময়ের সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ভাড়াটে খুনীরা তাকে হত্যা করে বলে নিশ্চিত হন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহার নামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে ১১ আসামি হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মামুন, চুন্নু মিয়া, আরিফ, ইবরাহীম খলিল, রফিকুল ইসলাম এবং শরীফুদ্দিন চৌধুরী।



মন্তব্য চালু নেই