মির্জাপুর থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও কনস্টেবল ক্লোজ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করতে টাকা নেয়ার ঘটনায় মির্জাপুর থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল সরকার ও কনস্টেবল মো. শামীমকে ক্লোজ করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে তাদের টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। জমির দলিল হারিয়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ভানুয়াবহ গ্রামের রমিজ সিকদারের ছেলে মো. দরবেশ জিডি করতে মির্জাপুর থানায় যান।

সেখানে থানার কনস্টেবল মো. শামীম কে দিয়ে জিডির আবেদন লেখার পর ১শ টাকা দিলে শামীম বলেন, ১০০ টাকা এখন ফকির ভিক্ষাও নেয় না। পরে তিনি (দরবেশ) ২০০ টাকা দেন।

এরপর তিনি আবেদনটি ডায়েরিভুক্ত করার জন্য কর্তব্যরত পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল সরকারের কাছে যান। আবেদন হাতে নিয়ে মুকুল তাকে বলেন, ‘দ্যান দ্যান, টাকা বের করেন।’ এ সময় দরবেশ পকেট থেকে ৩০০ টাকা বের করে দিলে তিনি (মুকুল) বলেন, এইট্যা কি দ্যান। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। পরে মুকুল তাঁর কাছে এক হাজার টাকা দাবী করেন। এক পর্যায়ে দরবেশ তাঁকে ৪০০ টাকা দিয়ে আবেদনটি ডায়েরিভুক্ত করান।

এ ব্যাপারে কনস্টেবল শামীম আবেদন লিখতে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। এছাড়া এএসআই মুকুল সরকার বলেন, জিডি-সংক্রান্ত বিষয়, এটা তদন্ত হবে। এজন্য কিছু লাগে।

পরে এ নিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তাকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই