মির্জাপুরে কলেজ ছাত্রাবাসে হামলা; কমপক্ষে ১০ জন আহত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রাবাসে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ ছাত্র আহত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের খলিলুর রহমান কলেজের ছাত্রাবাসে এ ঘটনাটি ঘটে। কলেজ ও পুলিশ সূত্র জানান, প্রায় চার মাস আগে টিউওবওয়েলে পানি পান করার সময় মগ নিয়ে কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাহিনের সাথে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জামান মিয়ার বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনাটি কলেজের শিক্ষকেরা মিমাংসা করেন।

পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার সুযোগ পেয়ে কলেজের আবাসিক ছাত্র জামানকে বাঁশতৈল বাজারে শাহীন তার সহযোগীদেরকে নিয়ে মারধোর করে। ঘটনাটি ছাত্রাবাসের সুপারেনটেনডেন্ট প্রভাষক ইদ্রিস আলীকে জানালে তিনি বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেন। গতকাল শুক্রবার সকালে তা মিমাংসার কথা ছিল।

এদিকে মিমাংসার উদ্যোগের খবর পেয়ে শাহীন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শাহীনের সহপাঠি হৃদয় হোসেনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন যুবক এসে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। তারা ছাত্রাবাসের লোহার কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে কয়েকটি কক্ষের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে।

এসময় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে তারা তাদের লাঠিপেটা করে। এতে জামান ছাড়াও নুরুল ইসলাম, আকাশ, শরিফ, সোলায়মানসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

ছাত্রাবাসের সুপারেনটেনডেন্ট ইদ্রিস আলী বলেন, বহিরাগত শিক্ষার্থীদের আসার খবর পেয়ে তিনি তাদের গেইটে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা বাধা না মেনে ভেতরে ঢুকে ভাংচুর চালায়। ঘটনার সময় হামলাকারীরা ১৫ টি মোবাইল ফোন সেট লুটে নিয়েছে বলে তিনি জানান।

মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল তিনি পরিদর্শন করেছেন। কলেজের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



মন্তব্য চালু নেই