‘মিনার ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত ৭৬৯’

সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে হতাহতের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে সে দেশের সরকার।

মর্মান্তিক ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭৬৯ জন। শনিবার সৌদি আরেবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আল-ফালিহের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে ।

সংবাদ সম্মেলনে সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭৬৯ জন যা আগে পাওয়া তথ্যের চেয়ে ৫২ জন বেশি।

তিনি জানান, এই ৫২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া ওই ঘটনায় মোট ৯৩৪ জন আহত হয়েছেন।

মিনায় পদদলিতের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইরানের ১৩৪ জন, মরক্কোর (স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী) ৮৭ জন, ক্যামেরুনের ২০ জন, নাইজারের ১৯ জন, ভারতের ১৮ জন, মিশরের ১৪ জন, পাকিস্তানের ১১ জন, চাদের ১১ জন, সোমালিয়ার আটজন, বাংলাদেশের পাঁচজন, সেনেগালের পাঁচজন, আলজেরিয়ার চারজন, তানজানিয়ার চারজন, তুরস্কের চারজন, ইন্দোনেশিয়ার তিনজন, কেনিয়ার তিনজন, নাইজেরিয়ার তিনজন, নেদারল্যান্ডের একজন, বুরুন্ডির একজনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। নিহত বাকিদের জাতীয়তা এখনও শনাক্ত করতে পারেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, এ বছর সৌদি আরবে হজপালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গেছেন প্রায় ২০ লাখ। কিন্তু বৃহস্পতিবার হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের শেষ পর্যায়ে শয়তানের (প্রতীকী) উদ্দেশে পাথর ছুঁড়তে গিয়ে পদদলিত হয়ে বহুসংখ্যক হাজি হতাহত হন।

গতকাল পর্যন্ত ৭১৭ হাজি নিহত এবং আট শতাধিক আহতের কথা বলা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানানোয় সৌদি সরকারের সমালোচনা হচ্ছিল দেশ-বিদেশে। অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ও ওঠে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। এ প্রেক্ষাপটে আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন করে সর্বশেষ ওই তথ্য জানান সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তবে মিনার পদদলনের ঘটনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১০ হাজির মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। এদিকে ওই ঘটনায় ৯৮ বাংলাদেশি হাজি নিখোঁজ রয়েছেন বলে সৌদি আরবে বাংলাদেশের হজ মিশন জানিয়েছে ।



মন্তব্য চালু নেই