মিনতির পথচলা

নীলফামারী জেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম- মুসরতগোড়গ্রামের অধিবাসী সুবাস চন্দ্র রায়। তিন কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে তাঁর সংসার। মিনতি লেখাপড়ায় বেশিদুর এগুতে পারেন নাই। বিয়ে করেই সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেন। স্বামী দিন মজুর। কষ্ট করে দিনাতিপাত করেন।

এর পর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর নবকলি প্রকল্পের সাথে যুক্ত হন। গর্ভবতী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। নবকলি প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং (যেমন- বসত বাড়ীতে সবজি চাষ, মুরগী পালন এবং ছাগল পালন) গ্রহন করে তা স্বামীর সাথে আলোচনা করে ট্রেনিং লব্ধঞ্জান বাড়ীর সীমানায় প্রয়োগ করেন।

বেড তৈরি করে সবজির বীজ বপন করলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে শাক-সবজিতে ভরে ওঠে। ট্রেনিং লব্ধঞ্জান মুরগী এবং ছাগল পালনে ও প্রয়োগ করেন।

এছাড়াও মিনতি নিজেও পাটের সুতা দিয়ে উন্নতমানের ফ্লোর ম্যাট তৈরী করে তা বাজারে বিক্রি করে সংসারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছেন। এ ভাবে তিনি দারিদ্রতাকে অনেকটা জয় করেছেন।

বড় মেয়ে ৮ম শ্রেণী ও মেজ মেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ছে। নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাবেত আলী তার সাফল্যের কথা শুনে তার বাড়ী পরিদর্শন করেন।



মন্তব্য চালু নেই