সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার এসআই মতিন আর্থিক সুবিধা নিয়ে যৌতকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনের ঘটনায় স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা গ্রামের আব্দুস সোবহান শেখের মেয়ে জোসনা বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোসনা বেগম বলেন, এখন থেকে প্রায় ১০ বছর আগে পাশ্ববর্তী নগরঘাটা দক্ষিনপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে হুমায়ুনের সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী তার উপর প্রায় শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন চালাতো। এক পর্যায় ভ্যান চালক বাবা একটি গরু বিক্রি করে ২০ হাজার হুমায়ুনের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তারপরও আরো টাকার দাবিতে স্বামী তার উপর নির্যাতন অব্যহত রাখে। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তখন তাকে মারপিট ও গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের ৬ বছর বয়সের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর অর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি অন্যের খেতে কাজ করে সংসার চালাতে থাকেন। তার পরও তিনি স্বামীর মন পাননি। একপর্যায় সে তার বাবার কাছে আরও এক লক্ষ টাকা যৌতক দাবি করে। তার কথামত যৌতকের টাকা আনতে বাবার বাড়িতে না যাওয়ায় ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বামী হুমায়ুন তার কর্মস্থলে গিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে। এতে তার দুই পা ভেঙ্গে যায়। এঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে ২ অক্টোরব সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওসি মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই মতিনের উপর দায়িত্ব দিলে তিনি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় আদালতে একটি মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার আগে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিন তার সাথে বা তার সাক্ষীদের সাথে কোন কথা বলেননি। অথচ তার উপর স্বামীর নির্যাতনের ঘটনায় সে সময় বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তাছাড়া আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সব প্রমাণাদিও তার কাছে রয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ট তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে মিথ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকারি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।



মন্তব্য চালু নেই