মিতুর সিম সিএনজি চালকের কাছে

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর ব্যক্তিগত সিম চালু আছে এবং সেটি একজন সিএনজি চালক ব্যবহার করছেন।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর ডিবি কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ।

তিনি বলেন, মিতুর মোবাইল ফোনটি (যে সিমটি মিতু হত্যার পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি) এখনও সচল আছে। মোবাইল ফোন যার কাছে আছে তার সঙ্গে আমি কয়েকবার কথা বলেছি। সর্বশেষ বুধবারও তাকে আমি মামা ডেকে কথা বলেছি। অপর প্রান্ত থেকে বলেছেন, তিনি একজন সিএনজি চালক, এই নম্বরটি হাতিরঝিলে কুড়িয়ে পেয়েছেন। তিনি মগবাজার আমবাগানের বাসিন্দা বলেও জানিয়েছেন।

এদিন স্বামীসহ সাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রামের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। দীর্ঘ চার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের মিতুর বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন তারা। তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছেও তদন্তের অগ্রগতি ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন তারা। এসময় মা শাহেদা মোশাররফ তদন্ত কর্মকর্তাকে মিতুর মোবাইল ফোনটি (যে সিমটি মিতু হত্যার পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি) সচল থাকার বিষয়ে তথ্য দেন।

চার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এডিসি কামরুজ্জামানও কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, মিতুর হারানো মোবাইল সেট উদ্ধারে একটি টিম কাজ করছে।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বাবুল আক্তার, ২২ ডিসেম্বর শ্বশুর মোশাররফ হোসেন, ১ জানুয়ারি বাবুল আক্তারের মা-বাবাকে, ৮ জানুয়ারি বাবুল আক্তারের খালাত ভাই মফিজকে, ২২ জানুয়ারি সফিউদ্দিন নামে বাবুল আক্তারের অপর খালাত ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

গত বছরের ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই