মিঠাপুকুর হবে বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা, প্রাধান্য পাবে শিক্ষা

মোঃ শামীম আখতার, উপজেলা প্রতিনিধি, মিঠাপুকুর (রংপুর) : রংপুরের মিঠাপুকুরে তৃতীয় ধাপে ৭টি ও চতুর্থ ধাপে ১০ টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। তারা ইতোমধ্যে ইউনিয়নগুলোকে মডেল ইউনিয়ন গড়ার ঘোষণা দিয়ে জনগনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সবকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বলে দু’টি বিষয়ে সহমত পাওয়া গেছে। তাহলো- মিঠাপুকুর হবে বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা এবং সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে শিক্ষা ক্ষেত্রে।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানরা সকলেই স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, মিঠাপুকুর বলতে কিছুদিন আগেও বুঝাতো অস্থিতিশীল পরিবেশ ও নাশকতার একটি উপজেলা। এ উপজেলার নানা সময়ে ঘটেছে বেশ কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এবাবে দু’ধাপে ইউপি নির্বাচনে জনগন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বুঝতে শিখেছে। তারা ভোট দিয়েছে উন্নয়নের জোয়ারে। দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি মিঠাপুকুরকে ডিজিটাল উপজেলায় রূপান্তরিত করতে হবে। এজন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার জেলার প্রথম হয়েছে মিঠাপুকুর। এই ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি আরো উন্নয়ন করতে হবে। জনগনকে সচেতন করে প্রতিরোধ করা হবে বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা ও মাদক নিয়ন্ত্রন।

তৃতীয় ধাপে মিঠাপুকুরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন- পায়রাবন্দে ফয়জার রহমান খাঁন, কাফ্রিখালে আশরাফুল ইসলাম, লতিবপুরে ইদ্রিস আলী মন্ডল, দূর্গাপুরে সাইদুর রহমান তালুকদার, বড় হযরতপুরে রুস্তম আলী, মির্জাপুরে আব্দুর রউফ ও ইমাদপুরে আফছার আলী। চতুর্থ দফায় ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন- খোড়াগাছে আসাদুজ্জামান, রানীপুুকুরে শফিকুল ইসলাম, ভাংনীতে কামরুল ইসলাম, বালারহাটে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, চেংমারীতে রেজাউল কবীর, ময়েনপুরে মাহাবুবুর রহমান, বালুয়া মাসিমপুরে ময়নুল হক, বড়বালায় সাহেব মিয়া সরকার, মিলনপুরে আব্দুল হালিম চৌধুরী ও গোপালপুরে আমিরুল ইসলাম দিলিপ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা যদি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে তাহলে উন্নয়ন তরান্বিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই