মিঠাপুকুরে শিক্ষার দ্বার খুললো ২১০০ জন বয়স্ক ও পথশিশুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে সু-শিক্ষার দ্বার খুললো ২ হাজার ১’শ জন নিরক্ষর বয়স্ক ও পথশিশু। নিরক্ষরমুক্ত, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, আতœনির্ভরশীল ও বেকারত্ব দুরীকরণের লক্ষ্যে উপজেলায় ৩৫টি শিখন কেন্দ্র উদ্ভোধন করা হয়েছে বুধবার। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নির্মিত শিখন কেন্দ্রগুলোতে ৩টি করে শিফটে শিক্ষাদান কার্যক্রম শুরু হল।

এ উপলক্ষ্যে খোর্দ্দ শেরপুর গ্রামে শিখন কেন্দ্রের মাঠে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে, প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল। সার্ভিস ইন কনটিনিউ পার্টিসেফেট সোসাইল এন্ড হিউম্যান ডিভলপমেন্ট সোসাইটি (এসএসডিএসপি) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এটি বাস্তবায়ন করছে।

আলোচনা সভায় স্থানীয় সুধী প্রভাষক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলোয়ার বেগম ও উপজেলা শিশু বিষয়ক অফিসার ওয়াহেদ সুমন। সভায় সুচনা বক্তব্য দেন সার্ভিস ইন কনটিনিউ পার্টিসিভেট সোসাইল এন্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (এসএসডিএসপি)’র নির্বাহি পরিচালক গোলাম মোস্তফা সুমন।

তিনি জানান, ৩৫ টি শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ১ শ সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্ককে ৩ শিফটে ২০ জন করে শিক্ষাদান করা হবে। প্রথম শিফটে শিশুশ্রেণীর ছোট শিশুদের খেলার ছলে আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান, দ্বিতীয় শিফটে ঝড়ে পড়া ও শিশুশ্রমে নিয়োজিতদের শিক্ষাদান এবং হাতে কলমে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হবে।

এছাড়াও, তৃতীয় শিফটে বয়স্কদের অক্ষরজ্ঞানের পাশাপাশি কৃষি বিষয়ক কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হবে। এজন্য কৃষি বিশেষজ্ঞরা প্রতি সপ্তাহে ২ দিন বিশেষ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ব্যবস্থার অনুরূপে অনানুষ্ঠানিক কার্যক্রম প্রাক-প্রাইমারী স্বাক্ষরতা উত্তর ও কারিগরি প্রশিক্ষণদানে ২য় পর্যায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই