মিঠাপুকুরে তীব্র শীত, হিমেল বাতাস, বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় স্থবির জনজীবন

কন কনে ঠান্ডা, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে গোটা উপজেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ৩দিন থেকে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। সেই সাথে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও হিমেল বাতাসের কারণে মানুষজন ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ক্ষেতখামারে কাজকর্ম বন্ধ। ব্যবসা-বাণিজ্য তেমন চলছে না। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখিরাও কষ্ট পাচ্ছে ঠান্ডায়। সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ আর দিনমজুররা। শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

রানীপুকুর ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামের ভ্যানচালক রায়হান আলী গায়ে পুরনো কম্বল জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, ‘শীতত কেউ ঘর থাকি বাইর হওচে না। প্যাসেঞ্জার পাই না। এই ঠান্ডাত ভ্যানইবা চালাই ক্যামন করি’।

রাণীপুুকুর পূর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর আবেদ আলী তার উঠানে জ্বালানো আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে গায়ে তাপ নিতে নিতে বললেন, ‘বাপের জনমে এমন জাড় (শীত) দেকি নাই বাহে। বাইরে বাইর হবার পারি না। কামকাজও নাই। ক্যামন করি সংসার চালাই, বলেন’।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে ক্ষেতের শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও আলু এবং ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। শীতের কারণে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক লোকের সংখ্যাই বেশি।



মন্তব্য চালু নেই