মায়েদের ব্যস্ত জীবনকে সহজ করে তোলার ১৫টি টিপস

ব্যস্ততম দিনে যখন পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকেনা তখন মনে হয় যে, যদি এমন কিছু সহজ উপায় থাকতো যাতে কাজগুলো আরো সহজে ও কম সময়ে করে ফেলা যেত! বিশেষ করে ছোট বাচ্চার মায়েদের অবস্থা বেশি নাকাল হয় । তাদের জন্য এমন কিছু সহজ টিপস আজ জেনে নেই আসুন। যা জানার পর আপনার মনে হবে, “ইশ আমি কেনো এভাবে চিন্তা করলাম না !”

১। যখন বাচ্চার ছবি তুলবেন তখন তাকে হাসতে নিষেধ করুন, দেখবেন সে তখন ঠিকই হাসবে।

২। যদি কানে পানি ঢুকে তাহলে ১ চামুচ ভিনেগার ও পানি কানে দিন, কানের পানি বের হয়ে যাবে।

৩। আপনার সন্তান পানির বোতল থেকে যদি সরাসরি পানি খেতে চায় তাহলে বোতলের মুখের একপাশে আপনার হাতের বুড়ো আঙ্গুল চেপে ধরে বাচ্চাকে পানি খাওয়ান,এতে পানির ফ্লো কম হবে এবং পানি ছিটকে পরবেনা।

৪। বাবেল ফুলানোর বোতলটি টেবিলের পায়ের সাথে স্কচটেপ দিয়ে লাগিয়ে দিন, এতে বোতলের তরল পরে অন্য কোন দুর্ঘটনা হবেনা ।

৫। চেয়ার ও পোশাকের দাগ তুলতে বাচ্চার জন্য ব্যবহৃত ভেজা টিস্যু (Wipes) ব্যবহার করুন।

৬। শিশুর চুলে চুইং গাম আটকে গেলে আইস কিউব এর সাহায্য নিন।

৭। আপনার সন্তানের রুমের দরজার পেছনে হুক ও জুতা রাখার রেক লাগিয়ে দিন যেখানে সে তার খেলনা জীবজন্তু গুলো ঝুলিয়ে রাখতে পারবে।এখান থেকে খেলনা নিতে ও পরিস্কার করতে তাঁর জন্য সহজ হবে।

৮। অনেক সময় বাচ্চাকে দরজা বন্ধ না করতে বলা হয়। এর জন্য বাচ্চার দরজার একপাশের হাতলের সাথে রাবার ব্যান্ড লাগিয়ে অন্য পাশের হাতলের সাথে জুড়ে দিন। এতে আপনার বাচ্চা দরজা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেনা।

৯। বাচ্চার জন্য এমন জুতা কিনবেন যেটা পরলে স্লিপ কাটবে না।

১০। বেবি পাউডার বালি দূর করতে পারে চমৎকার ভাবে। বাচ্চার গায়ে ধুলা-বালি লাগলে বেবি পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

১১। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় আপনার বাচ্চার পোশাকের সেট গুলো আলাদা আলাদা জিপ লক করা ব্যাগে নিয়ে লাগেজে নিতে পারেন।এতে করে খুঁজে পেতে সহজ হবে এবং পরার পরে সেটাকে ধোয়ার আগ পর্যন্ত আলাদা রাখতে পারবেন যাতে পরিষ্কার কাপড়ের সাথে না মিশে যায়।

১২। বাচ্চার ড্রয়িং এর সব সরঞ্জাম একটি প্লাস্টিকের র‍্যাকে রাখুন যাতে খুঁজতে সমস্যা না হয়।

১৩। সপ্তাহের একটি দিনে আগামী ১ সপ্তাহে বাচ্চাকে যে পোশাক গুলো পরাবেন তা ঠিক করে একসাথে রাখুন, এতে আপনার অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। পোশাকের সাথে আন্ডারওয়্যার, জুতা-মোজা,রুমাল,ক্লিপ,টাই ইত্যাদি সব জিনিষ গুছিয়ে রাখুন।

১৪। মেয়ে শিশুদের চুলে বিভিন্ন ধরণের ক্লিপ ও ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় এগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এগুলো একটি বক্সে করে কাছাকাছি কোথাও রাখুন।

১৫। বাচ্চার চেয়ারে পেছনে একটি হুক লাগিয়ে দিন। সেখানে তার ক্যাপ বা রুমাল রাখতে পারবে।

আপনার সন্তান যে জিনিষটি যে যায়গা থেকে নিবে সেটি কাজ শেষে যাতে সেখানে নিয়ে রাখে এই বিষয়টি শিখাতে হবে।তাহলে আবার যখন প্রয়োজন হবে তখন আর খুঁজতে হবেনা, এতে সময় বেঁচে যাবে অনেকটা। শিশু সব সময় অনুকরণ প্রিয় হয়। আপনি তাঁকে যা শিক্ষা দিবেন সে তাই শিখবে। আপনি নিজে গুছিয়ে চলুন আপনার সন্তান ও গুছিয়ে চলতে শিখবে।



মন্তব্য চালু নেই