মাহিদুর-চুটুর আমৃত্যু কারাদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে আনীত তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়েছে। ১ নম্বর অভিযোগে তাদেরকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আরেকটি অভিযোগে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মামলার রায় শোনানোর জন্য মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশি প্রহরায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মাহিদুর ও চুটুর মামলার রায় পাঠ শুরু হয়। ১৩৩ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

এদিকে দুই আসামির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এলাকার আশেপাশে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা অবস্থান নিয়েছেন।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আদালত।

মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে গত ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান এ অভিযোগ দাখিল করেন।

মাহিদুর ও চুটুর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা ও গণহত্যার সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই