মাশরাফিকে লাঞ্ছনা এবং ক্ষমা প্রার্থনা

অতি উৎসাহ সব সময়ই খারাপ। সেই অতি উৎসাহের কারণেই হয়তো শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি মসজিদের সামনে বাংলাদেশী এক সমর্থক কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার হন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং ওপেনার এনামুল হক বিজয়।

তবে এ জন্য পরে ক্ষমা প্রার্থনা করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাশী বাংলাদেশী সমর্থকদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সাপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিসিএসএ) ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, ‘প্রিয় মাশরাফি, আমাদের ক্ষমা করবেন।’ একই সঙ্গে একটি বিবৃতিও দিয়েছে তারা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর মাশরাফিদের মাথায় তুলেই নাচতে চেয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু শ্রীলংকার কাছে বাজেভাবে হারের পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কোন কোন প্রবাশী বাংলাদেশী ক্রিকেট সমর্থক। যে কারণে, মাশরাফিদের সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ খুব খারাপভাবে প্রকাশ করে বসেন তারা।

বৃহস্পতিবার শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং- কোনোটিই সেদিন আশানুরূপ ভালো করতে পারেননি মাশরাফিরা। যে কারণে মাশরাফিদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল প্রবাসীরা।

পরেরদিন শুক্রবার মেলবোর্নের শহরতলীর হান্টিংডেল মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে গেলে বিষয়টি নিয়ে মাশরাফিকে একজন প্রবাসী কটাক্ষ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ কাভার করতে যাওয়া এক সাংবাদিক জানান, মাশরাফির সাথে এনামুল হক বিজয়কে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই প্রবাসী।

গুঞ্জন রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছে যায়। তবে বিসিএসএ’র বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এই গুঞ্জনটি সত্য নয়। তবুও মাশরাফির প্রতি ওই সমর্থকের আচরণ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এই কারণেই বিবৃতির মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান তারা।

Mash

বিবৃতির শেষ দিকে বলা হয়, যিনি মাশরাফির সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তিনি নিজেও তার অসাবধানী এই আচরণের লজ্জিত। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আসুন, আমরা এই ঘটনার নিভু নিভু আগুনে জল ঢালি। দয়া করে কেউ এই আগুনে পেট্রোল ঢালবেন না। আনন্দ ও বেদনায় আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। কারণ, ক্রিকেট ছাড়া তো আমাদের ঐক্যের জায়গা তেমন কিছু নেই।’

মেলবোর্নের মসজিদে অনাকাংখিত যা কিছু ঘটেছিল মাশরাফির সাথে



মন্তব্য চালু নেই