মালয়েশিয়ায় বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠাবে সরকার

মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অভিবাসন রোধ করতে এবার বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশটিতে বৈধভাবে অভিবাসনের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ায় অবৈধভাবে অভিবাসন বা মানব পাচার বেড়ে যায়। সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জঙ্গলে অবৈধ অভিবাসীদের গণকবরের খোঁজ পাওয়ায় নড়েচড়ে বসে আন্তর্জাতিক মহল। এই পরিস্থিতিতে সরকারও অস্বস্তিতে পড়ে। এই অবস্থায় সরকারি পর্যায়ে দেশটিতে জনশক্তি পাঠানোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও জনশক্তি পাঠানোর মৌখিক অনুমতি দিল সরকার।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি পর্যায়ে জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ায় অবৈধভাবে ও মানব পাচারের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারি পর্যায়ে গত তিন বছরে মাত্র ৮ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অথচ এই প্রক্রিয়া বেসরকারি পর্যায়ে ছেড়ে দিলে গত তিন বছরে কয়েক লাখ কর্মী দেশটিতে যেতে পারতো। কারণ বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ থাকলে কেউ টাকা খরচ করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ঝুঁকি নিত না।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ান ভিসার ছাড়পত্রের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছে। আমরা ভিসা সত্যায়নের জন্য ভিসাগুলো ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে পাঠিয়েছি। সবকিছু সঠিক থাকলে এসব ভিসার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মালয়েশিয়ায় প্লান্টেশন খাতে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে দু’দেশের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা চুক্তি হয়। কথা ছিলো প্রতি বছর এই খাতে ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি। কিন্তু সরকরি পর্যায়ে(জিটুজি) কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হওয়ায় গত তিন বছরে মাত্র ৮ হাজার কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছে। অথচ মালয়েশিয়ায় জিটুজি প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে দেশ ব্যাপী প্রায় ১৪ লাখ কর্মী বাছাই করে রাখা হয়। কিন্তু বাছাইকৃত কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই