মার্কিন সিটিজেনশিপ ত্যাগের সংখ্যা বাড়ছে

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ৫ হাজার ৪১১ জন। আগের বছরের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ বেশি। ট্যাক্স বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিদেশে কাজের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ-সম্পদেরও ট্যাক্স দিতে হওয়ায় নাগরিকত্ব ত্যাগের হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস না করলেও নাগরিকদের বার্ষিক ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হয়। এটি বাধ্যতামূলক। এ অবস্থায় যেখানে কাজ/ব্যবসা করছেন, সেদেশে ট্যাক্স প্রদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ীও ট্যাক্স দিতে হবেই। অর্থাৎ উপার্জিত আয়ের বড় একটি অংশ বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ২০১০ সালে ‘ফরেন একাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লাইয়েন্স এ্যাক্স’ (ফ্যাটকা) চালুর পর যেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের বিনিময় চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মার্কিন নাগরিকদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য অবহিত করতে হয়। আয়ের ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হয় মার্কিন ট্যাক্স বিভাগকে।

২০১০ সালে ফ্যাটকা কার্যকর হবার বছরে নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৩৪ জন। গত বছর পর্যন্ত তা ১০৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় ৮০ লাখ আমেরিকান বিভিন্ন দেশে বাস করছেন।

নাগরিকত্ব ত্যাগের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ঘটেছে লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের নাম। যুক্তরাজ্যে মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে চলতি মাসেই তার পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন। বৃটিশ মা-বাবা কর্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সময় তার জন্ম হয়েছিল। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার ধরে রেখেছিলেন। এখন ট্যাক্সে অযথা যন্ত্রণার কারণে সেটি ত্যাগ করলেন।



মন্তব্য চালু নেই